২৭শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| ১১ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৬ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি| ভোর ৫:৫৬| বর্ষাকাল|
শিরোনাম:
মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে শতভাগ জিপিএ-৫ অর্জন টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী তানিশা পেলেন জিপিএ ৫ ছাতকে এসএসসিতে পাশের হার ৬৭.৮০ শতাংশ,জিপিএ-৫ এর শীর্ষে ছাতক সরকারি বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় দিরাইয়ে পুকুরে ভাসতে থাকা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার রেজাউল ও রুবেল গং মিলে জোরপূর্বক দীর্ঘদিন ধরে আমার ভিটা দখলের পায়তারা করছে : শিক্ষক কুমিল্লায় যাত্রা শুরু করলো ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৬৩ দশমিক ৬০, কমেছে পাশের হার ও জিপিএ ৫ কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বৃহস্পতিবার পরীক্ষা স্থগিত দখলদারদের উচ্ছেদের নোটিশ দেয়ায় ভূমি কর্মকর্তাসহ তিনজনের উপর হামলা ত্রিপুরায় ভারী বর্ষণে গোমতী নদীর পানি বাড়ছে, তীরবর্তী মানুষের মাঝে আতঙ্ক

অবৈধ পথে মিয়ানমার থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে গবাদিপশুর চালান ঢুকছে

Reporter Name
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ২৪, ২০২৪,
  • 149 বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

জামাল উদ্দীন, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি : খামারি শিল্প ধ্বংসের তকমায় বৈধ পথ বন্ধ করে গর্জনীয়া অবৈধ সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে গবাদিপশুর চালান ঢুকছে। চোরাচালান রোধে ১৯৯৫ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ-মিয়ানমারপর্যায়ে সীমান্ত বাণিজ্য চালু হয় টেকনাফ পৌর শহর কায়ুকখালী খাল দিয়ে।এতে উদ্ভিদ জাতীয় সহ অন্যান্য পন্যসমূহ আমদানির বিস্তার ঘটার পর গবাদিপশু আসতো চোরাই পথে। বৈধ পথে গবাদিপশু আনতে ২০১৩ সালে শাহপরীরদ্বীপে স্থাপিত হয় ক্যাবল করিডোর। এর পর চোরাই পথের পরিবর্তে বৈধ পথ করিডোর দিয়ে মিয়ানমার থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে গবাদিপশুর চালান ধারাবাহিকভাবে আসতে শুরু করে। পরবর্তীতে আঃলীগ সরকার ক্ষমাতায় আসার পর মিয়ানমারের গবাদিপশুর আমদানির কারণে দেশে খামার শিল্প ধ্বংসের তকমার কারণ দেখিয়ে ২০২১ সালের মার্চ মাসে করিডোর দিয়ে মিয়ানমার থেকে গবাদিপশুর চালান বন্ধ করে দেয়। বৈধ পথে গবাদিপশু আমদানি বন্ধের পরিবর্তে অবৈধ পথ বান্দরবন জেলার গর্জনিয়া সীমান্তের চোরাই পয়েন্ট দিয়ে অবৈধভাবে মিয়ানমার থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে গবাদিপশুর চালান আসতে শুরু করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,মিয়ানমার সীমান্তের প্যানডোলায় এসব চোরাই গবাদিপশু মওজুদের পর বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী গোমতলী ৪২,৪৮ ও ৫২ সীমান্ত রেখা পিলারে চলে আসার পর গভীর রাতে গর্জনিয়া বাজারে এসে বৈধ হয়ে যায়। মিয়ানমার থেকে একটি গবাদিপশু গর্জনীয়া বাজারে আসতে দালালেরা নেয় ২২ হাজার টাকা এবং হাসিল নেয় ২৫০০ শত টাকা। ওই সব টাকা দালালের মাধ্যমে সরকারি বিভিন্ন এজেন্সি ভাগবাটোয়ারা করে নেয়।গবাদিপশু থেকে সরকারী রাজস্ব পাওয়া অধিকার ওরা পকেট ভারী করে নিয়ে যাচেছ। সূত্র জানায়, চকরিয়া ও রামু সংসদীয় দুই আসনের সাবেক দুই  সাংসদের পরোক্ষ সহযোগিতায় এবং দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে গবাদিপশুর চালান নির্ভয়ে ডুকছে। প্রশ্ন উঠেছে গর্জনিয়া বাজারে এতগুলো গবাদিপশুর চালান কী আসমান থেকে আসে?। আজ এ সব প্রশ্ন সচেতন নাগরিকদের মধ্যে রীতিমতো আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। এদিকে শাহপরীরদ্বীপ করিডোর বন্ধের পর ১০ হাজার ব্যবসায়ী এবং প্রায় ৩০হাজার বিভিন্ন পেশাজীবী শ্রমিক এখন বেকারত্ব জীবনে ভোগছে। এর প্রতিকার চেয়ে টেকনাফ ও শাহাপরীরদীপের গবাদিপশুর আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ নিয়ে এখন ঢাকায় অবস্থান করছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ