আজ ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আদালতের রায় অমান‍্য করে জমি দখল বসতবাড়ি জবর দখলের পায়তারা

মো আব্দুল শহীদ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :দোয়ারাবাজার উপজেলায় জমি দখল করে বসতবাড়ি জবর দখলের পায়তারা এবং কর্তনকৃত গাছের ডাল জোর করে নিয়ে গেছে বিবাদীপক্ষের লোকজন। সুনামগঞ্জের জজ কোর্টের রায় অমান‍্য করে গাছের ডাল,জমির ধান ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেন গ্রামের একাধিক ব‍্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের আলীপুর গ্রামে।

জানা যায়, একই গ্রামের নিরিহ মো. মুসলিম উদ্দিনের জমি অবৈধভাবে দখল নিতে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন একই গ্রামের মৃত আনোয়ার উদ্দিনের ছেলে প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম (৪০), তার ছোট ভাই লোকমান হুসেন (৩৫), আপন বোনের জামাই রবিউল্লাহ, আপন মামু হেলাল উদ্দিন (৫৫), রবিউল মিয়া (৫০) ও আব্দুল আলী গংরা।

কিন্তু বাদী মুসলিম উদ্দিন ছোট পদের সরকারী চাকুরি করায় বাইরে থাকার সুযোগে আলীপুর গ্রামের কতিপয় লোককে নিয়ে সিন্ডিকেট করে বাড়িতে আসলে চলাফেরায় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে বিবাদী নুরুল ইসলাম গংরা। কিন্তু জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আদালতের মামলার রায় পাওয়ার পর কোর্টের আদেশে জমি উভয় পক্ষের জমির সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও নুরুল ইসলাম গংরা পাকা পিলার উপড়ে ফেলেছে বলেও অভিযোগ বাদী মো. মুসলিম উদ্দিনের।

মামলার বাদী মো. মুসলিম উদ্দিন জানান, গত মঙ্গলবার আমার ২ কেয়ার জমির পাশের সড়কে আমার লাগানো গাছের ডালপালা ছাটাই করে ফেলে রেখেছিলাম। পরে নুরুল ইসলাম গংরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে যায় এসব ডালপালা। যার অনুমান মূল‍্য ৮ হাজার টাকা। গত অগ্রহায়ণ মাসে আমার কর্তন করা জমির ধানও তারা নিতে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমি দোয়ারা থানায় অভিযোগ করি। তখন পুলিশ এসে ইউপি সদস‍্য হামিদ মিয়ার জিম্মায় রেখে যায়। বলে যান যে কোর্টের রায় পাবেন তাকে ধানের টাকা দেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, আমার জমির রায় আমার পক্ষে, এসএ পর্চা, আরএস পর্চা আমার নামে। আমি জমির খাজনাও পরিশোধ করেছি। এরপরও আমার সাথে অন‍্যায় আচরণ করছেন নুরুল ইসলাম গংরা। আমি একাধিকবার এলাকায় বিচার প্রার্থী হয়েছি। কিন্তু বিচার মানেননি মহিবুর রহমান মানিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিবাদী নুরুল ইসলাম গংরা।

এ প্রসঙ্গে সুরমা ইউপি সদস‍্য হামিদ মিয়া বলেন, আমার কাছে জমা ধান বিক্রির ৮ হাজার টাকার উপরে আছে। আমি থানা থেকে সিদ্ধান্ত পাইনি বলে টাকা দেইনি।

স্থানীয় বাসিন্দা মোজাম্মেল হোসেন, মশিউর রহমান, হানিফ মিয়া এ বিষয়ে অবগত আছেন বলে জানান।

অভিযুক্ত ব‍্যক্তি প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলেন, জমির পাশে গাছের ডালপালা আমরা নিয়েছি এটা সত‍্য। কোর্টের মাপে আমাদের জায়গা কম হয়েছে। মুসলিম উদ্দিনের জমির ভেতরে ও বসতবাড়িতে আমাদের জায়গা আছে সেই গুলোও দখল করব।

সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান মো হারুন অর রশীদ বলেন, মুসলিম উদ্দিন এবং প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামের জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমার কাছে যদি উভয় পক্ষ আসে তাহলে আমি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ