আজ ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আন্তর্জাতিক সীমা রেখায় টিলা কেটে মাটি বিক্রির অভিযোগ

মো আব্দুল শহীদ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের খামারভিটা গ্রামে টিলা কেটে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করছে স্থানীয় একাধিক ব‍্যক্তি। টিলা কেটে মাটি উত্তোলন করে ট্রলি দিয়ে বাচ্চুনগর পিকনিক স্পটের উপর দিয়ে আনয়ন করায় পরিবেশ দূষণসহ নানা ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখ করে সোমবার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেছেন কামারভিটা গ্রামের বাসিন্দা মো. বাচ্চু মিয়া শিকদার।

সরেজমিনে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় বাচ্চুনগর পিকনিক স্পটের উত্তর দিকে টিলা কেটে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এই মাটি ট্রলি দিয়ে গ্রামের আওয়াল মিয়ার নতুন বাড়ির ভিট ভরাট করা হচ্ছে। টিলার বেশ জায়গা জুড়ে মাটি খনন করা হয়েছে।

স্থানীয় একাধিক ব‍্যক্তি জানান, খামারভিটা গ্রামের বাসিন্দা মৃত. দিল মামুদের ছেলে ইউসুফ আলী ও ইদ্রিস আলী, মৃত ফজলু মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন, মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে সবুজ মিয়া, ইউসুফ আলীর ছেলে হাফিজুল ইসলাম ও কাওসার মিয়া গংরা টিলা কেটে এই মাটি উত্তোলন করে বেচাকেনা করছেন।

কামারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা গোলাপ মিয়া সিকদার বলেন, আন্তর্জাতিক সীমান্তে নোম‍্যান্স ল‍্যান্ডে টিলা কেটে মাটি উত্তোলন করা উচিৎ নয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশের

ক্ষতি হয়।

অভিযুক্ত ব‍্যক্তিদের একজন আনোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে ইউপি সদস‍্য আলমাছ মিয়া জানান, ফসলি জমি করতে মাটি কাটা হচ্ছে।

 

কামারভিটা গ্রামের বাসিন্দা মো. বাচ্চু মিয়া শিকদার বলেন, নারায়ণ তলা মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ের ঠিলা সংলগ্ন নোম‍্যান্স ল‍্যান্ডের টিলা কেটে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। এই মাটি অবৈধ ট্রলি-পিকআপ দিয়ে আমার বাচ্চুনগর পিকনিক স্পটের উপর দিয়ে নেওয়ায় রোপিত বিভিন্ন প্রজাতির মূল‍্যবান গাছ নষ্ট হয়েছে। আমার পিকনিক স্পটে আসা দর্শনার্থীরা নানা দূর্ঘটনার শিকার হতে পারে। এলাকার পরিবেশ দূষণ হয়। আমার রেকর্ডীয় পিকনিক স্পটের ভেতর দিয়ে আমার নিজেস্ব অর্থায়নে রাস্তা নির্মাণ করেছি। সেটাকে নষ্ট করেছে মাটি খেকোরা। এতে আমি বাধা দিয়েছি। এখন আমার উপর ক্ষুদ্ধ হয়েছে তারা। এখন আমাকে হয়রানি করতে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে সিন্ডিকেট চক্ররা । সোমবার এ বিষয়ে আমি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দিয়েছি। সিন্ডিকেটের কারণে আমার ভোগদখলীয় জমি বিক্রি করতে পারছি না। সিন্ডিকেটের কাছে কম মূল্যে জমি বিক্রি না করায় বর্তমানে আমি ও আমার পরিবারবর্গরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসমাইল রহমান বলেন, ডিসি স‍্যারের অনুমতি ছাড়া আমি বক্তব‍্য দিতে পারি না। যদি থাকে টিলায় মাটি কাটার ছবি দেন। খোঁজ-খবর নিয়ে ব‍্যবস্থা নেবো।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অতীশ দর্শী চাকমা বলেন, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের বাচ্চুনগর পিকনিক স্পটের উত্তরপাশে টিলা কেটে মাটি উত্তোলনের বিষয়টি আমি এসিল‍্যান্ডকে বলে দিচ্ছি প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্থা নেওয়ার জন‍্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ