ধর্মপাশা -মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি হওয়ার পর ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন শুধু নিজের ভাগ্যই বদল করেননি। তার ছোঁয়া পেয়ে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন তার ভাই ও পরিবার । তাদের মধ্যে এমপি রতনের তিন নাম্বার ভাই মোবারক হোসেন যতন।
এলাকায় তিনি ‘ পাঙ্গাস যতন হিসেবে বেশি পরিচিত। ‘রতন নামক আলাদিনের চেরাগ’ পেয়ে এক সময়ের দিন দিনমুজুর যতন এখন কোটিপতি ও বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক।
বাদশাগঞ্জ সাব রেজিস্টার অফিস বিভিন্ন ভূমি অফিস থেকে মোটা অংকের মাসোহারা বিনিয়োগ ছাড়াই ভাই এমপি রতনের প্রভাব খাটিয়ে জলমহাল থেকে অর্থ আদায় তদবির বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা ও বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক মোবারক হোসেন যতন। এ ছাড়াও যতনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।
কুঁড়েঘরে জন্ম নেয়া মোবারক হোসেন যতন মোহনগঞ্জ উপজেলার হাসপাতাল রোর্ডে ৪ তলা পাকা বাড়ি ছাড়াও তিনি এখন চার-চারটি বাড়ির মালিক। গত ১৫ বছরের ব্যবধানে বহু জমির মালিক হওয়া ছাড়াও কোটি কোটি টাকার মালিক। ছেড়ে দিয়েছেন দিন মুজুরের কাজটি। সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ তো আছেই।
মোবােক হোসেন যতনের একাধিক ব্যাংক হিসেবে রয়েছে তার লাখ লাখ টাকা। দুইটি অ্যাকাউন্টে গত ২ বছরে প্রায় দুই কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এলাকায় বলাবলি হচ্ছে, মাত্র এক দশক আগেও দিনজুরি করে চালিয়ে জীবন নির্বাহ করা একজন সাধারণ মানুষ আশ্চর্য আলাদিনের চেরাগ পেয়েছেন নিশ্চয়ই। না হলে এত বিত্ত-বৈভবের মালিক তিনি হন কিভাবে।
এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে, ধর্মপাশা উপজেলার গাছতলা বাজারে রয়েছে দুইটি পাকা দোকান এবং মোহানগঞ্জ ও ময়মনসিংহ অভিজাত এলাকায় তার একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি ও দামি গাড়ি রয়েছে। পরিবার নিয়ে যতন ময়নসিংহ একটি অভিজাত এলাকায় বাস করছেন। এমপির ভাই হওয়ায় মোহনগঞ্জ ও ময়মনসিংহ বসেই ধর্মপাশার সবকিছুর ওপর তার নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। রয়েছে একটি নিজস্ব বাহিনীও। এছাড়াও এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের জন্য যতনের নিজস্ব বাহিনী রয়েছে বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেয়া যতন ১৫ বছর আগেও দিন মুজুরি করে চালিয়েই সংসার চালাতেন যতন। ফলে এলাকায় তিনি ‘ পাঙ্গাস যতন ‘ নামেই বেশ পরিচিত। এমপির ভাই যতন ও তার পরিবার ২০০৮ সালের আগে দিন মুজুরি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এমপি রতন হওয়ার পর থেকে তাদের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে থাকে যতন ও তার পরিবারের যতন এখন কোটি কোটি টাকা ও বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক।
উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের নওধার গ্রামের বাসিন্দা মোবারক হোসেন সেলিম বলেন, গত ১৫ বছর আগে যতন মানুষের বাড়িতে কামলা দিয়ে সংসার চলতো তার ভাই রতন এমপি হওয়ার পর সে বিপুল পরিমাণ সম্পদ ও টাকার মালিক হয়েছে সে এত পরিমাণ টাকাও জমির মালিক কি করে হয়েছে ? যতন এলাকায় সবচেয়ে প্রভাবশালী সে তার ভয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পাওয়না এবং দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ইকবাল বলেন, মোবােক হোসেন যতন ২০০৮ সালের আগে দিন মুজুর ছিলেন। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেয়া যতন ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আশারপর তার ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি হওয়ার পর থেকে তাদের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে থাকে। সে আলাদীনের চেরাগ হাতে পেয়ে যায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোবারক হোসেন যতন বলেন, আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যে টাকা লেনদেন হয়েছে এবং রয়েছে সেগুলা ম্যাঙ্গু কোম্পানির জমি কেনার জন্য দিয়েছিল। আমার নিজের নামে কিছু জমি আছে। আমার বড়ভাই এমপি ও ছোট ভাই উপজেলা চেয়ারম্যানের জমি গুলি আমি দেখা সোনা করি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা রিপোর্ট না করলে হয় না। প্রোয়জনে আমি আপনার সাথে দেখা করি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, এ ব্যাপারে কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে
Leave a Reply