আজ ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চৌদ্দগ্রামের হোসেন পুরে দুটি দিঘী থেকে চাষকৃত বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১ কোটি টাকার মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে

মোহাম্মদ শাহাদাত আলম অন্তর : ভারতীয় বন্যার পানি ডাকতিীয়া নদীর উপর দিয়ে এসে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নীচু এলাকা প্লাবিত। পানিতে ভেসে গেছে দুটি দিঘীর ৭ মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে, যার মুল্য মূল্য ১ কোটি টাকা।

চৌদ্দগাম উপজেলার ৪নং শ্রীপুর ইউনিয়রে ডুমুরিয়া গ্রামেরে সলিম উদ্দীনের ছেলে আমান উল্লাহ ও তার ভাই আহছান উল্লাহ একই এলাকার হোসেন পুরে দুটি দিঘীতে প্রায় দুই বছর যাবৎ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছিল বন্যার পানিতে চাষকৃত বিভিন্ন প্রজাতির ৭ মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি টাকা বলে উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে।
আজ সোমবার সরজমিন গিয়ে মৎস্য চাষি আহছান উল্লাহ জানায় বন্যায় আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। চোখের পলকে আমার দীর্ঘ দিনের কষ্টার্জিত মাছের খামার নিমিষেই শেষ হয়ে গেল। আমার আর কিছুই রইল না। পথে বসে গেলাম। ব্যাংক ঋণ, কর্মচারীদের বেতন, ফিড ও ওষধ কোম্পানির বকেয়া টাকা কিভাবে পরিশোধ করবো জানিনা। হাউমাউ করে কান্না জড়িত কন্ঠে কথা গুলো বলছিলেন মৎস্য চাষী আমান ইল্লাহ ও তার ভাই আহছান উল্লাহ।  তারা আরো বলেন, ব্যাংক লোন, আত্মীয় স্বজন থেকে ধার নিয়ে ও নিজের কাছে যা ছিল সবকিছুই খামারে বিনিয়োগ করেছি। প্রায় ২৪০ একর জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উৎপাদন করে আসছি। আলহামদুলিল্লাহ ভালো ভাবে আমার ব্যবসা চলছিল। বন্যার আগে কোটি টাকার মালিক ছিলাম, আর এখন আমরা দেনাদার।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শেফাউল আলম জানান, বন্যায় চৌদ্দগ্রামে মৎস্য ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা, সচিব ও মহাপরিচালক চৌদ্দগ্রাম পরিদর্শন করেছেন। ওই সময় আমরা প্রস্তাব করেছিলাম ব্যাংক লোন ছয় মাস থেকে এক বছর না নেয়া হয়, এবং স্বল্প সুদে ঋণ দেয়া হয়। এ ছাড়া মৎস্য চাষে উপকরণ দ্রুত সময়ে দেওয়া হয় যাতে করে তারা আবারও মাছ চাষে মনোযোগী হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ