শিরোনাম :
সুনামগঞ্জে ধ্রূবতারা শিল্পীগোষ্ঠী ও সংগীত বিদ্যালয়ের উদ্বোধন দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিএনপির মশাল মিছিল মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান ইউনিভার্সিটি অফ স্কলারস এর এ্যালামনি এসোসিয়েশন এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত দুমকিতে এবি পার্টির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সমর্থন জানিয়ে কালামকে সহযোগিতার আশ্বাস দোলার তেঁতুলিয়ায় দৃষ্টিনন্দন টি ভ্যালি গ্রীণ রিসোর্ট উদ্বোধন চাঁপাইনবাবগঞ্জে জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের মিছিল ছাতক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে বিস্ময়-ক্ষোভ কুমিল্লা সদর দক্ষিণে মাদকবিরোধী অভিযানে দুই নারীর অর্থদন্ড ও কারাদণ্ড তেঁতুলিয়া গড়ে উঠছে ছোট্র ভারত নামে নতুন ‘পর্যটন আকর্ষণ
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন

জামায়াতে ইসলামের কিছু ঐতিহাসিক রাজনৈতিক ভুল

Reporter Name / ৩৫৩ Time View
Update : শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪
Oplus_0

মু্হাম্মদ বদরুল আলম শিপু : জামায়াতে ইসলামের কিছু ঐতিহাসিক রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। বর্তমান প্রজন্মের জন্য সেটি অবশ্যই জানবার দরকার। সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদুদী কর্তৃক ১৯৪১ সালের ২৬ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠার পর থেকে দলটি এ পর্যন্ত তিনবার নিষিদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৬৪, ১৯৭১ এবং ২০২৪ সালে নিষিদ্ধ হয়। বেশকিছু গৃহীত ভুল সিদ্ধান্ত ইসলামিক এই রাজনৈতিক দলটি গণমানুষের দলে পরিণত হতে দেয়নি। ইতিহাস পর্যালোচনা করে জামায়াতের রাজনীতির বেশকিছু ভুল সিদ্ধান্ত চিহ্নিত করেছি।

১। জামায়াত ১৯৪৬ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগকে সমর্থন করেনি।

২। ১৯৪৭ সালেরম মুসলমানদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান সৃষ্টির বিরোধিতা করেছিল।

৩। ১৯৬৫-এর নির্বাচনে জামায়াত ইসলাম সর্বপ্রথম নারী নেতৃত্ব ফাতিমা জিন্নাহকে সমর্থন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এতে জামায়াতের সমর্থনে ভাটা পরে এবং এই প্রথম মওদূদীকে ইসলামী আন্দোলনের নেতার পরিবর্তে একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে দেখতে শুরু করে।

৪। আওয়ামী লীগ প্রদত্ত ছয় দফা এবং মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ঘোষিত ১১ দফার তীব্র বিরোধিতা করে জামায়াত।

৫। ১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের তীব্র বিরোধিতা করে। জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সাহায্য করতে রাজাকার, আলবদর, আল শামস প্রভৃতি বাহিনী গড়ে তোলে। এরা পুরো মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষে কাজ করে।

৬। স্বৈরাচার এইচ এম এরশাদের নির্বাচনে বৈধতা দেয়ার জন্য ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাথে অংশগ্রহণ করেছিলো জামায়াতও। ওই নির্বাচন বর্জন করেছিলো বিএনপি।

৭। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি সরকার কর্তৃক অনুষ্ঠিত নির্বাচন বর্জন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টির সাথে সংঘবদ্ধভাবে নির্বাচন বর্জন কর জামায়াত। তিনটি দল লাগাতার বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আন্দোলন করেছিলো।

৮। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিএনপিকে অংশগ্রহণে ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করেছিলো জামায়াত। শেষমেষ জামায়াতের চাপে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছিলো বিএনপি-জামায়াত।

৯। সংকটকালে বাংলাদেশের স্বৈরাচার হিসাবে পরিচিত জাতীয় পার্টি-জাপা ও আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে পুর্নবাসনে সহযোগিতা করা।

১০। সর্বশেষ ২০২৪ সালে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা পতনের সাথে সাথে প্রকাশ্য বিএনপির বিরোধীতা করে জামায়াতে আমিরের বক্তব্য প্রধান। বর্তমান সরকারে আমলে গণহারে প্রশাসনিক চেয়ার দখলে নিচ্ছে। তূণমূলে বিএনপির কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি ঢালাওভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

 

জামায়াতে ইসলামীর উপরোক্ত ভুল সিদ্ধান্তগুলো কখনোই দলীয়ভাবে স্বীকার করা হয়নি। বিশেষ করে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ সৃষ্টির বিরোধীতার জন্য নিজেদের অবস্থান জাতির কাছে স্পষ্ট করা হয়নি। গত ৫ আগষ্ট ছাত্রজনতার বিপ্লবে জামায়াতের অবদান অস্বীকার করবার সুযোগ নেই। কিন্তু সেই বিপ্লবের ফসল এককভাবে ঘরে তুলবার সে অসুস্থ্য প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে দেখা যাচ্ছে তাতে জামায়াত আওয়ামী লীগকে পুর্নবাসনের সুযোগ করে দিচ্ছে। বিষয়গুলো জামায়াতের নীতি নির্ধারকদের ভাববার জন্য অনুরোধ করছি।

# মু্হাম্মদ বদরুল আলম শিপু ( সাবেক জি,এস) ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রসংসদ, সদস্য – কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা

সম্পাদকীয়

সম্পাদক ও প্রকাশক