আজ ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

টেকনাফে বিশেষ মহলের ইন্ধনে স্কুল ছাত্র অস্ত্র মামলায় কারাগারে, উর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ দাবি

বিশেষ প্রতিবেদক : টেকনাফে বিশেষ মহলের ইন্ধনে পুলিশ যোগসাজশ করে হাইস্কুল ছাত্র ও মেম্বারপুত্রকে অস্ত্র মামলায় কারাগারের প্রেরণের প্রতিবাদে পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এতে তদন্ত স্বাপেক্ষে এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন মহলের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ২৯নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টায় টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান-২ এবং ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার রেজাউল করিমের বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রেজাউল করিম মেম্বারসহ আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়,আমাদের সন্তান তাওসিফুল করিম রাফি হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র ও গত ২৮নভেম্বর হতে শুরু হতে যাওয়া বার্ষিক পরীক্ষার্থী ছিল। গত ২৬নভেম্বর ভোর ৪টায় টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের এসআই বদিউল আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ হ্নীলা দরগাহ পাড়াস্থ প্রবাসী জনৈক নুরুল আমিনের বাড়িতে অস্ত্র ও বুলেট উদ্ধারের পর স্থানীয় মেম্বার হিসেবে রেজাউল করিম মেম্বারকে ডাকাডাকি করলে বাড়ির গৃহকত্রী সরল বিশ্বাসে বসত-গৃহের দরজা খুলে দিলে মেম্বারকে খুজেঁ না পেয়ে রোমের দরজায় লাথি মেরে রোম খুলে আমাদের ছেলেকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর মৃত্যু ও গুলিবর্ষণের ভয়ভীতি দেখিয়ে জবাববন্দি রেকর্ড করে আমাদের পারিবারিক ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের পরামর্শে ও আর্থিক বশীভূত হয়ে উক্ত অস্ত্রাদি আমার ছেলের নিকট পাওয়া গেছে বলে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে। যা খুবই নিন্দনীয় এবং ঘৃণিত। এক শিশু বয়সের অবুঝ শিশুকে বিশেষ মহলের ইন্ধনে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে এক বছরের শিক্ষা জীবন নষ্ট করে দেওয়া কোনমতে কাম্য নয়। যা দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দা ঝড় তুলে পুলিশের সুনামকে হাস্যরসে পরিণত করেছে। আমরা অনিয়ম, দূর্নীতি ও বৈষম্যবিরোধী সরকারের নিকট এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুবিচার দাবী করছি।

আমরা ভোক্তভোগী পরিবার সাংবাদিকদের মাধ্যমে জাতির কাছে বিচার দিতে চাই যে, একজন ৭ম শ্রেণীর ছাত্র ভোর সোয়া ৪টারদিকে বসতগৃহ থেকে প্রায় ২শ গজ দূরে নুরুল আমিনের বসতগৃহে কি জন্য এবং কেন যাবে? অথচ মামলার স্বাক্ষীরা জবানবন্দি দিচ্ছে নুরুল আমিনের বাড়ির আলমিরা হতে এসব উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার স্বাক্ষী ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করলে আসল সত্যটা বেরিয়ে আসবে।

আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষগণ আমি এবং আমার পরিবারকে চিরতরে দুনিয়া থেকে শেষ করে দিতে একের পর এক হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের পরিবারের ভদ্র, নম্র ও লাজুক সন্তানকে এত বড় জঘন্য মিথ্যা মামলায় আসামী করে আমাদের শত্রুপক্ষকে উল্লাসে মাতিয়েছে। এই জঘন্য ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার বিষয়ে আমরা ভোক্তভোগী পরিবার আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপি, ডিআইজি, গোয়েন্দা সংস্থাসমুহ ও কক্সবাজার পুলিশ সুপারের ‌দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ