শাহাদাত হোসেন নোবেল, দিঘলীয়া (খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের (১ নং ওয়ার্ডের) ঘোষপাড়া সর্বজনিন পূজা মন্দিরের জমি দখল ও বিদুৎ কুমার ঘোষের জমি দখল এর অভিযোগ উঠেছে,প্রায়ত ঠাকুর কালি পদ চক্রবর্তী ও তার ছেলে দেব প্রসাদ চক্রবর্তী (দেবু ঠাকুরের) বিরুদ্ধে।
বাদি বিদ্যুৎ কুমার ঘোষ বলেন, আমার পিতার মুন্দিরে দানকৃত সম্পত্তি ও আমার পৌত্তিক সম্পতি দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালী দেব প্রসাদ চক্রবর্তী দেবু ঠাকুর। বিদ্যুৎ কুমার ঘোষ জানায় , ঘোষপাড়ার রেকর্ডিও সম্পত্তির বিআরএস খতিয়ান ১২২৩ ও দাগ নম্বর ৯৬০ এর জমির পরিমান ১৭ শতক। উক্ত খতিয়ানের ২.৫ শতক জমি দখল করেন দেব প্রসাদ চক্রবর্তী ও তার ছেলে গোলক চক্রবত্তি।
বিবাদি ঠাকুর দেব প্রসাদ চক্রবর্তীর তার পুত্র গোলক চক্রবত্তি বলেন, আমার প্রয়াত: ঠাকুর দাদা কালি পোদ চক্রবর্তী এলাকার একজন সন্মানিত ব্যাক্তি ছিলেন। আমাদের বিরুদ্ধে বসতবাড়ি নির্মাণ ও জমি দখলের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি আরো বলেন, মন্দিরের চারপাশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে আসছে এবং মন্দিরের পূজা-অর্চনার জন্য সামনের জায়গাটুকু এভাবে দখল হয়ে গেলে সমস্যায় পড়তে হবে এখানকার কয়েকশত হিন্দু সম্প্রদায়ের। আমরা ব্রাম্মণ পূজা-অর্চনার জন্য আমরা সকল সহযোগিতা করে থাকি।
এ ব্যাপারে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক ও স্থানিয় বাসিন্দারা বলেন বিদ্যুৎ কুমার ঘোষ দিঘলিয়া থানায় ১৬.০২.২৪ ইং একটি লিখিত অভিযোগ দেন এবং যৌথ বাহিনির কাছে ২০.১০.২৪ ইং তারিখে নিজ রেকর্ডের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ দেন। অপর দিকে বিবাদি দেব প্রসাদ চক্রবর্তী (দেবু ঠাকুর)ও তার ছেলে গোলক চক্রবর্তী বলেন, উক্ত জমির বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য দিঘলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ- গন্যমান্য ব্যক্তিরা চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে, বাধ্য হয়ে আমরা তাদের বিরুদ্ধে দিঘলিয়া থানায় ও যৌথবাহিনীর নিকট অভিযোগ দায়ের করেছি । ঠাকুর বাড়ির পরিবারের সাথে ঘোষপাড়ার সর্বজনীন পূজা মন্দিরে মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জায়গা জমি নিয়ে বিরোধে চলে আসছিল। মহামান্য আদালতে এ ব্যাপারে একাধিক মামলা চলমান। আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল উক্ত মামলায় আদালতের যে রায় দিবে আমরা তাই মাথা পেতে নিব।
Leave a Reply