৩রা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| ১৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৩শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি| রাত ৯:৫৩| বর্ষাকাল|
শিরোনাম:
নির্বাচন পেছাতে ‘সংস্কার বিচারের’ নামে ষড়যন্ত্র চলছে : আমিনুল হক মধ্যনগরে টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে পিংকনের  মধ্যনগরে ৫২০ গ্ৰাম গাঁজাসহ গ্ৰেফতার ১ জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে কুমিল্লায় বর্ণাঢ্য প্রতীকী ম্যারাথন অডিটোরিয়াম, জিমনেশিয়াম ও স্টেডিয়াম নির্মাণের দাবি মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আমাদের টার্গেট হচ্ছে এক কোটি সমর্থক বাড়াবো- রুহুল কবীর রিজভী গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ইবি নিউজ এর প্রকাশক মোঃ মাসুম সরদার এর ৪২ তম জন্মদিন আমতলীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে রঙ্গে গ্রাফিতি চিত্র অংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় অটোরিকশায় পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিলেন চালক অনিক

দোয়ারায় রাস্তা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করা জমে থাকা পানিতে মানুষের ভোগান্তি

Reporter Name
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, জুন ১৯, ২০২৫,
  • 48 বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

মো আব্দুল শহীদ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইদুকোনা গ্রামের পয়েন্টে রাস্তার ভূমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করায় চলাচলের রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে কাদার সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিদিন হাজারো মানুষের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। তাই এই অবৈধ মার্কেট ভেঙে দেয়ার দাবি স্থানীয়দের।

স্থানীয় একাধিক ব‍্যক্তি জানান, পয়েন্টের পাশের ভূমির মালিক বাবুল মিয়া, ফারুক মিয়া গংরা জোরপূর্বক এ মার্কেট নির্মাণ করেছে। পরে স্থানীয় দোয়ারাবাজার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে অভিযোগ করা হয়। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা সরেজমিন তদন্ত করে মার্কেটের পিলার এবং দেওয়াল ভেঙে রাস্তার জায়গা ছেড়ে দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।

এ সময় দেয়ালের কিছু অংশ ভেঙে ফেলেছিল ভূমির মালিকেরা। কিন্তু পরবর্তীতে পুনরায় তারা মার্কেটের বেইজ, পিলার সহ দেয়াল সংস্কার করে ফেলেন। বাবুল মিয়া স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মার্কেট নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা আরও জানান বাবুল মিয়া তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে রাস্তার এক পাশের মাটি কেটে রাস্তায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে।

স্থানীয়রা জানান, ইদুকোনা পয়েন্টের এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী, শিক্ষক, মসজিদের মুসল্লি, ব‍্যবসায়ী এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষজন চলাফেরা করেন। পয়েন্টে রয়েছে প্রায় ২৫টি দোকান ঘর। রাস্তায় পানি জমে থাকায় মানুষজন প্রতিদিন নানা ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলার সময় ইদুকোনা পয়েন্টের ফার্মেসী ব‍্যবসায়ী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: সামসুল হক, ডা: আলমগীর, ডা: সোহেল মিয়া, অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সেনা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, ব‍্যবসায়ী অহিদ মিয়া, মফিজ মিয়া, আব্দুল হান্নান, আব্দুর রহিম, মোতালিব হোসেন, মো. তুলন মিয়া, আব্দুল জব্বার, আবুল কাশেম, নুর আলম, ভ‍্যান চালক বিলাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

পথচারী আব্দুল আলী মাসুম বলেন, রাস্তার কিনারে পয়েন্টে এই অবৈধ মার্কেট সহ দেয়াল ভেঙে দেওয়ার দাবি আমাদের। দেয়াল নির্মাণ করায় এখন রাস্তায় পানি জমে থাকায় আমাদের চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তি হচ্ছে। বাবুল মিয়া গংরা রাস্তার মধ্যখানে বস্তা দিয়ে ৪টি আইল দিয়ে পানি জমিয়ে রেখে অন্যান্য ব্যবসায়িদের ক্ষতি সাধন করছেন। তার ছেলেরা অবৈধ ভারতীয় চোরাচালানের সাথে যুক্ত রয়েছে।

অভিযুক্ত ব‍্যক্তি ও ভূমির মালিক বাবুল মিয়া, ফারুক মিয়া গংরা জানান, রাস্তায় আমাদের জায়গা রয়েছে তাই মার্কেট নির্মাণ করেছি। কিন্তু কতিপয় ব‍্যক্তিরা হিংসাত্মমূলকভাবে অভিযোগ করেছে। কিন্তু পয়েন্টে বেশিরভাগ ভূমি আমাদের রেকর্ডীয়। আমাদের জায়গার উপর দিয়ে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এসব পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ বন্ধ করতে হবে। আমরা চাই পয়েন্টের সকলে মিলে সকল সমস‍্যার সমাধান করে পয়েন্টে ক্রেতা-বিক্রেতাদের আগমন নিশ্চিত করতে।

ইদুকোনা পয়েন্টের অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সেনা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, পয়েন্টের জায়গা প্রশস্ত থাকলে ব‍্যবসায়ীরা ব‍্যবসা করতে সুবিধা পাবেন এবং ক্রেতাদের সমাগম বাড়বে। আমরা পয়েন্টে শৃংখলা বজায় রেখে উন্নয়ন করতে চাই।

ফার্মেসী ব‍্যবসায়ী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: সামসুল হক বলেন, আমি এই পয়েন্টের যত সমস‍্যা আগে সমাধান করতাম। কিন্তু পরে কেউ কারো কথা শুনতে চায় না। তাই ধীরে ধীরে নানা সমস‍্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

বুধবার বিকেলে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে এ সব সমস‍্যা সমাধানে ব‍্যবসায়ীদের উদ‍্যোগে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: সামসুল হকের সভাপতিত্বে ইদুকোনা পয়েন্টে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সকলের সম্মতিক্রমে নতুনভাবে উদ‍্যোগ নিয়ে রাস্তায় জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের জন‍্য ৪টি ৪ ইঞ্চি পাইপ স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। একই সাথে মাটি ফেলে পয়েন্টের গর্তগুলো ভরে দেয়া এবং পয়েন্টের বর্জ‍্য নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়। সভায় আরো আলোচনা হয় যে, সরকারী ভূমি কারো ভেতরে ঢুকে থাকলে তা সরকার দেখবে। এ নিয়ে তাদের মধ‍্যে ঝগড়া বা হিংসা করার প্রয়োজন নেই। সকলে মিলে মিশে পয়েন্টের উন্নয়ন করবে এবং বাজারে পরিণত করার চেষ্টা করবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ