এস. কে. সাত্তার
বিপদে পড়ে দেখেছি পাশে থাকেনি কেউ
ঘরে বসে বিড়াল করেছে মেউ মেউ।
বন্ধু দেখেছি, দেখেছি তাদের ভাব
পাশে থাকেনি কেউ ধরেছে যে কি ভাব।
মনে হয়েছে, এয়াতিম আমি দেয়নি কোন দাম
অথচ তাদের করে দিয়েছি কতই না কাম।
ভাব দেখে মনে হয়েছে তারা কত দামী
চোখে চোখ রাখিনি সব কিছুই জানি।
দেড় পয়সার কাগজে লিখে ভাবটা যেন কি
গায়ে গতরে সাংবাদিক খবর দেখিনি।
দাপট দেখে মনে হয়েছে বিশাল সাংবাদিক
অখ্যাত কাগজে লিখেই মাথা নেই ঠিক।
অনেককে বলতে শুনেছি আমি সংগঠনের নেতা
বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে ঘরে নেই কাঁথা।
বাড়ি নেই ঘর নেই থাকে অন্যের বাড়ি ভাড়া
উপার্জনের পথ শুধু চাঁদাবাজী করা।
চাঁদাবাজীর কাহিনী শুনে পেয়েছি কত লজ্জা
ব্যস্ত কত না জানি করে কত বড় চাকরিটা।
চার পয়সা বেতন নেই ক্যামনে চলে পেটটা
হারাম খাওয়া বন্ধ হলে ছাড়তে হবে দেশটা।
এক কাঠা জমি নেই, করে বেতন ছাড়া চাকরি
তাদের দেখে মানুষ হাসে তার পর ও ভাব কি।
যে ভাবে হাঁটা চলা তাতে মনে হয়
বাঘ ভাল্লুক আসছে বুঝি সবাই পাবে ভয়।
চাঁদাবাজী করতে গিয়ে খায় গণধোলাই
সালিশ দরবারে গিয়ে বলে ক্ষমা চাই।
তার পরও ভাবটা এমন তারা না জানি কি
মানুষ কিন্তু দেখে করে ছি ছি।
এসব করে ও তারা যেন বীর বাহাদুর
মাঝে মাঝেই ঠেলায় পড়ে করে হাত জোর।
এই হচ্ছে বীর বাহাদুরদের বড় লোকি ভাব
মাঝে মাঝেই সালিশ দরবারে চেয়ে বাঁচে মাফ।
ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার
চাঁদাবাজী বন্ধ হলে কী করে খাবে এসব প্লেয়ার।
যাদের মান নেই, তাদের অপমান কি
চাঁদাবাজির টাকায় খাও পান্তা ভাতে ঘি!?
সময়: ৯.৪০ মি:
তারিখ: ০৫.১১.২০২৪ ইংরেজী।
Leave a Reply