আজ ৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পীরগাছায় অবৈধ চাঁদাবাজী শ্রমিক শোষন, নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধ ও র‌্যালি

মো: মফিদুল ইসলাম সরকার, রংপুর প্রতিনিধি : রংপুরের পীরগাছায় আজ শুক্রবার বিকেল তিনটায় অটোস্যান্ডের অবৈধ চাঁদাবাজী , শ্রমিক শোষন, নির্যাতন চাঁদা বাজির বিরুদ্ধে মানববন্ধন এবং র‌্যালির আয়োজন করা হয়েছিল।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের রংপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক মো: বেলাল আবেদিন, পীরগাছা উপজেলার সভাপতি ফারুকুল ইসলাম রাখু, পীরগাছা উপজেলার সহ সভাপতি এমদাদুল হক মিম, সাধারণ সম্পাদক মো: আব্দুস সাত্তার।

এ সময় বক্তারা চাঁদাবাজি বন্ধ করতে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, উপজেলার ৯ ইউনিয়নের সকল অটো, রিক্সা ও ভ্যান চালকদের কাছে থেকে সকল ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। বক্তারা বলেন, আগে একটি সংগঠনের নেতারা অসহায় অটো, রিক্স ও ভ্যান চালকদের কাছে থেকে নিয়মিত চাঁদাবাজি করতেন। বর্তমানে ওরা আর চাঁদাবাজি না করলেও অন্য একটি গ্ৰুপ চাঁদাবাজী শুরু করে দিয়েছে। বক্তারা বলেন, আমরা চাই পীরগাছা উপজেলায় কোন প্রকার চাঁদাবাজি চলবে না। সরকারী নিয়মের মধ্যে থেকে নির্ধারিত ফি’র বেশি কেউ গ্রহণ করতে কেউ পারবে না। সরকারী নিবন্ধনের বাহিরে অন্য কোন সংগঠন পরিচয় দিতে পারবে না।

বক্তারা বলেন, আমরা এই সব বিষয় নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নাজমুল হক সুমন ও পীরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (সাবেক)সুশান্ত কুমার সরকারের সাথে মতবিনিময় করেছি।

বক্তারা বলেন, আমরা চাই সব ধরনের চাঁদাবাজি, ফুটপাত দখল, অবৈধ স্থাপনা, সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাং ও মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনের সক্রিয় সহযোগিতা সবসময় চাই। বক্তারা বলেন, আমরা চাই চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে যাক। চাঁদাবাজরা যে দলেরই হোক, তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। এরই মধ্যে আমরা এসব চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছি। বক্তারা বলেন,পুরোপুরিভাবে এসব চাঁদাবাজি বন্ধ করতে আমরা সচেতন মহলের সহযোগিতা কামনা করছি। এ সময় বক্তারা সকল অটো এবং ভ্যান চালককে সরকারী নিবন্ধন কৃত পীরগাছা উপজেলা অটো, রিক্সা ও ভ্যান ট্রেড ইউনিয়ন (২১)’র উপজেলা সদস্য হওয়ার আহবান জানান।

এ ব্যাপারে পীরগাছা রেলষ্ট্রেশন পূর্বপাশের অটো স্ট্যান্ডের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাজেদ সরদার বলেন, আমি দীর্ঘ দিন থেকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। এ সময় তিনি বলেন, আজ যারা আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেছে তাদের একজনের সন্তানের আকিকায় গিয়ে আমি চারহাজার আটশত টাকা দিয়েছি। এসময় তিনি বলেন, আমরা প্রতিবছর ৯৬ হাজার টাকার মত চাঁদার টাকা উঠিয়ে থাকি। তবে কোন কোন বছরে চাঁদার টাকা কমবেশি হয়ে থাকে। এই চাঁদার টাকা আপনি কোন কাজে ব্যায় করেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতি বছর আমরা বনভোজনের আয়োজন করি। সেখানেই খরচ হয়ে থাকে ৩৫ হাজার টাকা। রেলওয়ে জামে মসজিদে দেই দশ হাজার চারশত টাকা, অটোচালকদের পক্ষ থেকে বিয়ের দাওয়াত দিলে সেখানে আমরা দেই তিন হাজার টাকা, আকিকার দাওযাত দিলে সেখানে দেই দুই হাজার টাকা। বাকি টাকা অটোচালকদের বিভিন্ন প্রয়োজনে খরচ করা হয়ে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ