মো আব্দুল শহীদ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উদ্যোগে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকালে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে এই কনফারেন্স অুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন কবির। তিনি স্বাগত বক্তব্যে বলেন, আইনগত বিষয় নিয়ে এই সভা ধারাবাহিকভাবে চলমান রেখেছি। সরকারী ছুটির দিনে এই সভা করলে নিয়মিত দাপ্তরিক কাজের কোনো সমস্যা হয় না। আমাদের উদ্দেশ্য হলো আইনের ধারার প্রয়োগ বিষয়ে আলোচনা বা চর্চার মাধ্যমে জানা। সকলে আইন বিষয়ে জানতে পারলে মামলা সংক্রান্ত কাজ এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, বিচার ব্যবস্থাকে আরও দ্রুত এগিয়ে নিতে এবং আদালতে বাদীর আসা-যাওয়ার ভোগান্তি কমিয়ে আনতে হাসপাতাল থেকে ইনজুরী রিপোর্ট, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট, ডিএনএ রিপোর্ট সহ যেকোনো ঘটনার রিপোর্ট দ্রুত দেওয়া উচিত। এসব রিপোর্ট যত দ্রুত পাওয়া যাবে, তত দ্রুততার সাথে বিচার কার্য পরিচালনা করে রায় দেয়া সম্ভব হবে আদালতের। রোগী রেফার হওয়ার কারণে বিচার কার্যের তথ্যাবলী সংগ্রহ করতে পুলিশ অফিসারগণ নানা সমস্যার সম্মুখিন হন। এই বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর।
সভায় ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন-২০২৩ সংক্রান্ত বিষয়, সিআর মামলা ও জিআর মামলার তদন্ত, গ্রেফতার বিষয়ে আইনের ধারা, বৈদেশিক মুদ্রা উদ্ধার ও মামলা দায়ের সংক্রান্ত বিষয়, জদ্ধ তালিকা প্রস্তুতের ক্ষেত্রে তদন্তকারী অফিসারের করণীয়, মাদক, চোরাচালান, দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি, মেডিকেল রিপোর্ট, জলমহালের এরিয়া ইজারাদার কর্তৃক দখল বিষয়ের জটিলতার অবসান সহ নানা বিষয় উপস্থাপন ও আলোকপাত করা হয়। এ সময় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাং হেলাল উদ্দিন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্জন কুমার মিত্র, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ফারহান সাদিক, সিনিয়র জজ দিলরুবা ইয়াছমিন, সহকারী জজ সম্পা ইসলাম আইনের ধারা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন।
কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রট মোহাম্মদ রেজাউল করিম, র্যাব কর্মকর্তা মেজর একেএম ফয়সল, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের উপ-পরিচালক (তত্ত্বাবধায়ক) ডা. মো. মাহবুবুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম খান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. মো. নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মো. শেরেনুর আলী, অ্যাড. নাসিরুল হক আফিন্দি, শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোখলেছুর রহমান, দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুর রাজ্জাক, বিশ্বম্ভরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ কাউছার আলম, জগন্নাথপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোকলেছুর রহমান, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাজমুল হক, দোয়ারা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. জাহিদুল হক, ধর্মপাশা থানার অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক, মধ্যনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সজিব রহমান, তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন, শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আকরাম আলী, ছাতক থানার ওসি (তদন্ত) রুহুল আমিন, ডিবি ওসি আমিনুল ইসলাম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আল আমিন, জেলার হুমায়ুন কবির, পিবিআই অফিসার মুরসালিন, সিআইডি এস.আই শাহ আলম প্রমূখ।
Leave a Reply