আজ ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ

মো আব্দুল শহীদ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে গনিনগর ষোল গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে ফেইসবুক মাধ্যমে পোস্ট করাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় শিক্ষক সহ ৪ জন গুরুত্বর আহত হয়েছেন। আহতরা শান্তিগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা গ্রহন করেছেন। পরে গতকাল বিকেলে শামীম আহমদ শান্তিগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আহতরা হলেন, শামীম আহমদ,খলিলুর রহমান,আব্দুল কদ্দুস,হারুন মিয়া, আমিরুল হুদা।

এ বিষয়ে শিক্ষক শামীম আহমদ বাদী হয়ে ৭ জনকে অভিযুক্ত করে শান্তিগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের গনিগঞ্জ গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে কয়ছর মিয়া, (৫০) চান মিয়ার ছেলে তদবির আলম (৪৫) মৃত জবান উল্লার ছেলে আব্দুল লতিফ কাচা(৬৫) আব্দুল হেকিম (৫২) আব্দুল লতিফের ছেলে রুবেল মিয়া (২৫) মৃত মতলিব মিয়ার ছেলে আতাবুর রহমান (২৭) এমরান হোসেন (২২) আব্দুল ওয়াহ ছেলে নূর আলম (৪৫)।

অভিযোগকারী মোঃ শামিম আহমদ বলেন, আমি বিগত প্রায় ১১ বছর ধরে সম্মানের সহিত গনিনগর ষোল গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে আসছি। গত ২৬ জুন আমি উক্ত বিদ্যালয়ের চাকুরী থেকে পদত্যাগ গ্রহন করি। এর পর হতে প্রতিপক্ষগণ বিভিন্ন কারনে আমার ক্ষতি করার পায়তারা করে আসছেন। গত ২২ জুন আমি আমার ব্যক্তিগত ফেইসবুক একাউন্টে গনিনগর ষোল গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যনিজিং কমিটির সভাপতির দুর্নীতি নিয়ে একটি পোষ্ট করি। এরই জের ধরে ঘটনার তারিখ ও সময়ে অর্থাৎ ৫ সেপ্টেম্বর বিকাল সোয়া ৪ টায় প্রতিপক্ষগণ আমাকে ঘটনাস্থলে পেয়ে আমার পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি ধামকি করতে থাকে। তখন আমি এবং আমার বাবা-ভাই প্রতিপক্ষদের গালিগালাজের প্রতিবাদ করলে তারা উত্তেজিত হয়ে তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র লোহার রড নিয়ে আমাদের উপর আক্রমন করে। এই বিষয় নিয়ে যদি আমরা মামলা মোকদ্দমা করি তাহলে আমাদের আবার মারপিট করবে। বর্তমানে হুমকি ধামকি অব্যাহত আছে। তাদের হুমকি ধামকিতে আমি সহ আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগিতেছি। তিনি আরো বলেন,প্রতিপক্ষগন যে কোন সময় আমার উপর সময় সুযোগ বুঝে আক্রমণ করতে পারে। পরবর্তীতে আমি আমার আত্মীয়-স্বজন সহ আশপাশের লোকজনদের অবহিত করে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করি। বর্তমানে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির হুমকির ভয়ে আমি সহ আমার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

অভিযোক্ত কয়ছর মিয়ার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার ওসি কাজী মোক্তাদির হোসেন চৌধুরী অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ