মো আব্দুল শহীদ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ শহরে উচ্ছেদ অভিযানের পর পুনরায় ফুটপাতের দোকানপাট বসতে শুরু করেছে। যানবাহন চলাচলে প্রতিনিয়ত ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল, সন্ধ্যা ও দুপুরে প্রতিটি পয়েন্টে যানজট লেগেই আছে। এসব সমস্যা নিরসনের ব্যবস্থা নিতে জোর দাবি জানিয়েছেন সচেতনমহল।
অপরদিকে, প্রধান ডাকঘরের সামনে থেকে ফলের বাজার স্থানান্তরের পর এখন নিয়মিত ঠেলাগাড়ি করে অস্থায়ী দোকান বসে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন একশ্রেণীর ব্যবসায়ীরা। তারা বিস্কুটের দোকান, পানি ফলের দোকান, সবজির দোকান, পিঠার দোকান, ছোট কাপড়ের দোকান, কলার দোকান, দুধের দোকান, মোয়ার দোকান, চায়ের দোকানসহ প্রভৃতির দোকান সাজিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
শহরের সুরমা মার্কেটের মোড় থেকে ট্রাফিক পয়েন্ট পর্যন্ত, ট্রাফিক পয়েন্ট থেকে কালীবাড়ি পয়েন্ট এবং থানার সামনে থেকে মোরগ বাজার পর্যন্ত আবারও অস্থায়ী দোকানপাট বসতে শুরু করেছে।
জানা যায়, ঠেলাগাড়ি করে যেখানে সেখানে যারা অস্থায়ী দোকান জুড়ে বসেছেন, তারা ফলের দোকান উচ্ছেদের পর ফাঁকা জায়গা পেয়ে এই সুযোগে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব দোকানের কারণে দুপুর ও সন্ধ্যায় যানবাহন চলাচলে যানজটের সৃষ্টি হয়ে আসছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুইজন ব্যবসায়ী জানান, তারা টাউন হল মার্কেটে স্থায়ী দোকানে ফলের ব্যবসা করতেন। কিন্তু ফল বাজার স্থানান্তরের পর তাদেরকেও ফল বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়েছে। তারা মেনে চলছেন পৌরসভার এই নির্দেশনা। এখন আবার কেউ কেউ নতুনভাবে বিল্ডিং ঘরে ফলের ব্যবসা জুড়ে বসেছেন। তাহলে এসব ব্যবসায়ীর দোষ কী। যাদেরকে বিল্ডিং ঘরে ব্যবসা করতে নিষেধ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবসা বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তাদের রয়েছে পৌরসভা কর্তৃক ট্রেড লাইসেন্স। তারা বলেন, বড় অংকের জামানত দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলাম। এখন ব্যবসায় বাধা।
একাধিক ফলের ব্যবসায়ী বলেন, গত প্রায় ৫ মাস আগে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেছিলেন, শহরের প্রধান ডাকঘরের সামনে থেকে ট্রাফিক পয়েন্ট পর্যন্ত ড্রেনের উপর বসে ফলের ব্যবসা করতে। যাতে যানবাহন চলাচলে সমস্যা না হয়। আমরা সেভাবে ব্যবসা করে আসছিলাম। আমাদের ব্যবসায় বিগত ৪০ বছরেও গাড়ি চলাচলে কোনো সমস্যা হয়নি। এখন আমাদের ব্যবসা স্থানান্তর হয়েছে। কিন্তু জমাতে পারিনি। প্রতিনিয়ত ব্যবসায় লোকসানের সম্মুখিন হচ্ছি। লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণগ্রস্ত হচ্ছি। আমাদের পরিবারের দু:খ ও কষ্টের সীমা নেই। এ কথা বলার বা শুনারও কেউ নেই।
পথচারী শিক্ষক শামীম আহমদ বলেন, সুনামগঞ্জ শহরের যানজট নিরসন হবে না। কারণ যতক্ষণ পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের সুব্যবস্থা করা না হচ্ছে।
বেসরকারী উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রাকিব হোসেন বলেন, এখন শীতকালীন ফলের মওসুম। আবার শীকালীন সবজির মওসুম। আমরা হাতের নাগালে ফল কিনতে চাই, সবজি কিনতে চাই। কিন্তু কয়দিন পর পর বাজারে ফলের দোকান খোঁজে পাওয়া যায় না, সবজির দোকান থাকে না। এসব সমস্যার স্থায়ী সমাধান জরুরি প্রয়োজন।
Leave a Reply