আজ ২৭শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বরগুনায় সাংবাদিক মাসউদ হত্যা মামলায় আরও ৩ জনকে অর্ন্তভূক্ত করে অভিযোগপত্র গ্রহণ

জহিরুল হক, বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনায় সাংবাদিক তালুকদার মোঃ মাসউদ হত্যা মামলায় পুলিশের দেয়া অভিযোগ পত্র থেকে বাদ পড়া গুরুত্বপূর্ন ৩ জন আসামীকে অর্ন্তভূক্ত করে আজ রবিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহন করেছে। অর্ন্তভূক্ত আসামীরা হচ্ছেন যমুনা টিভির বরগুনা প্রতিনিধি ফেরদৌস খান ইমন, সময় টিভির ষ্টাফ রিপোর্টার (বরগুনা) সাইফুল ইসলাম মিরাজ এবং ছগির হোসেন টিটু। এছাড়াও অন্য আসামীরা হলেন এনটিভির ষ্টাফ রিপোর্টার (বরগুনা) এ্যাড. আ.স.ম হাফিজ আল আসাদ, সোহেল হাফিজ, ক্যামেরাম্যান আরিফুল ইসলাম মুরাদ, কাশেম হাওলাদার, ওয়ালিউল্লাহ ইমরান, বাংলা নিউজের বরগুনা প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম মেহেদী।

মামলার বাদী নিহত তালুকদার মোঃ মাসউদের স্ত্রী সাজেদা আদালতের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ৩ জন গুরুত্বপূর্ণ আসামীকে তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগ থেকে বাদ দেয়ায় ন্যায় বিচার প্রাপ্তীতে যে হতাশা সৃস্টি হয়েছিলো আদালত আজ বাদ দেয়া গুরুত্বপূর্ণ ৩ জনকে অন্তভূক্ত করে অভিযোগপত্র গ্রহন করায় আশা করছি হত্যার সাথে জড়িতরা সাজা পাবে। আমি ও আমার সন্তানসহ নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার প্রত্যাশীরা ন্যায় বিচার পাবো। সাজেদা আরও বলেন, আসামীরা সাংবাদিক পরিচয়ে মামলায় প্রভাব বিস্তার করে আসছে। যার কারণে তদন্ত প্রতিবেদনে আসামীদের বাদ দেয়া হয়েছে। আসামীদেরকে সংশ্লিষ্ট মিডিয়া থেকে চাকরিচুত্য না করা হলে ন্যায় বিচার নিয়ে হতাশা কথাও জানান তিনি।

বাদী পক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম নেছার বলেন, বাদীর নারাজী দরখাস্ত আমলে গ্রহণ করে বাদ দেয়া তিন আসামীকে অভিযোগপত্রে অর্ন্তভূক্ত করেছে বিজ্ঞ আদালত। মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য জেলাও দায়রা জজ আদালতে বিচারের জন্য পাঠানো হয়েছে।

২০২৪ সালের ১৯ ফেব্রয়ারী বরগুনা প্রেসক্লাবে সহকর্মীদের সাথে কেরাম খেলতে গিয়ে সাংবাদিক সোহেল হাফিজের নেতৃত্বে হামলার স্বীকার হয়ে পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্হায় মারা যান সাংবাদিক মাসউদ। এই ঘটনায় নিহত সাংবাদিক মাসউদের স্ত্রী বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ০৭ ডিসেম্বর ২৪ তারিখ পুলিশ ১৩ আসামীর মধ্য ৮ জনকে বাদ দিয়ে আদালতে ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। আজ ৫ জানুযারী ধার্য্য তারিখে বাদী পক্ষ তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজী আবেদন করেন। আদালত বাদী পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং ওই দিনের ঘটনার ধারনকৃত ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযোগপত্রে ফেরদৌস খান ইমন, সাইফুল ইসলাম মিরাজ এবং ছগির হোসেন টিটুর নাম অর্ন্তভূক্ত করে অভিযোগপত্র গ্রহন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ