মো আব্দুল শহীদ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের নারায়ণতলা সীমান্তে বাচ্চুনগর পার্কে দর্শনার্থীদের সমাগমে জমজমাট হয়ে উঠেছে। এই পার্কে আগত দর্শনার্থীদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পিকনিক টিলার উপর চমৎকার বসার স্থান রয়েছে। পুকুরপাড়ে ও একাধিক বসার বন্দোবস্ত রয়েছে, সভা, সেমিনার, আনন্দ বিনোদনের উপযোগী স্থান হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে এই বাচ্চুনগর পিকনিক স্পট।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত এই বাচ্চুনগর পিকনিক স্পট সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ ও মনোরম পরিবেশে এবং নিরব নিস্তদ্ধ সময় কাটানোর এক অপূর্ব স্থান। সীমান্তের এই পিকনিক টিলায় উঠে দুই দেশের সীমান্তে অবস্থিত ছোট-বড় পাহাড়-টিলা দেখে চোখ জুড়ানো ও প্রাণ জুড়ানো এক অনাবিল আনন্দে কাটানোর অন্যতম স্থান বাচ্চুনগর পিকনিক স্পট।
বাচ্চুনগর পিকনিক স্পটের নিয়মাবলীতে উল্লেখ করা হয়েছে, সীমান্তের নো-ম্যান্সল্যান্ডে যাওয়া যাবে না, কোনো নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি প্রবেশ করা যাবে না, ইভটিজিং বা অশ্লীল আচরণ করা যাবে না। পিকনিক স্পটের ক্ষতি হয় এমন কাজ করা যাবে না, চলাফেরা বা কথা বলায় বন্ধু সুলভ আচরণ করা উচিৎ। অন্যথায় পিকনিক স্পট কর্তৃপক্ষ কঠোর ব্যবহার করতে বাধ্য হবেন।
রবিবার দুপুরে বাচ্চুনগর পিকনিক স্পটে স্বপরিবারে আগত ইংল্যান্ড প্রবাসী ও সংস্কৃতিকর্মী মুজিবুর রহমান বলেন, আমি বাচ্চুনগর পিকনিক স্পটে বেড়াতে এসেছি পরিবার সদস্যদের নিয়ে। সীমান্তে ও সীমান্তের অপারের ছোট-বড় পাহাড়-টিলা দেখে পরিবারের লোকজন দারুণ খুশি হয়েছে। পরিবেশ ও খুব ভাল। সকাল থেকে এসে এখনও আছি ভাল লাগছে।
দর্শনার্থী সাহেরা খাতুন জানালেন, আমি দুই মেয়েকে নিয়ে গোবিন্দগঞ্জ থেকে এসেছি। প্রথমে এসেছি সুনামগঞ্জ শহরতলীর সুরমা ভ্যালী ডিসি পার্কে। একজন বললেন, হালুয়ারঘাট থেকে সোজা বাচ্চুনগর পিকনিক স্পটে যাওয়া খুবই সহজ। তাই চলে এসেছি। বাচ্চুনগর না আসলে আমাদের জার্নি বৃথা যেতো। এখন আমরা সফল। একেবারে সীমান্তের কাছে এসে অনেক ছবি তোলেছি। দারুণ আনন্দিত আমরা।
শহরের বাসিন্দা সাজিদুর রহমান বলেন, পরিবার নিয়ে যেতে ছিলাম হাসাউরা কিন্তু হালুয়ারঘাট এসে গাড়ি চালক বলল, বেড়াতে হলে বাচ্চুনগর যান। সে আমাকে নিয়ে বাচ্চুনগর আসলো। এখন দেখি ভালই লাগছে। এখানে এসে দিনের বেশিরভাগ সময় ভালই কেটেছে।
এ ব্যাপারে বাচ্চুনগর পিকনিক স্পটের পরিচালক সাবেক মেম্বার বাচ্চু মিয়া বলেন, আমার পরিকল্পনায় আছে পার্ক টিলার উপরি অংশে এবং আশপাশে আরও দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলা। প্রাকৃতিক ফুলে-ফলে ও গাছ-গাছালি দিয়ে সাজিয়ে তোলা। একই সাথে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা। তিনি বলেন, আমার পিকনিক স্পটে কোনো অপরাধমূলক কাজ করার সুযোগ নেই। দর্শনার্থীথের নিরাপত্তার স্বার্থে দিনে ও রাতে আমার লোকজন দায়িত্ব পালন করছেন।
Leave a Reply