মোঃ আখতার হোসেন হিরন, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে নিয়মিত অফিস করছেন এক জন ইউপি চেয়ারম্যান। তবে উপজেলার ব্রহ্মগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মারা যাওয়ার কারণে সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন প্যানেল চেয়ারম্যান। সরেজমিনে গিয়ে জানাযায় উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাইসুল হাসান সুমন নিয়মিত অফিস করলেও বাকি ৭ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা রয়েছেন আত্মগোপনে। দেশের সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেয়রদের পদ থেকে অপসারিত করার প্রেক্ষাপটে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা গ্রামের সাধারণ মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী তার দায়িত্ব পালন করছেন। তবে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানই দলীয় পদ-পদবী, অনিয়ম, দুর্নীতি এবং মামলা হামলার ভয়ে তাদের কর্মস্থল থেকে পালিয়ে থাকলেও, চেয়ারম্যান রাইসুল হাসান সুমন সেই স্রোতের বিপরীতে থেকে তার দায়িত্ব পালন করছেন।
বৃহস্পতিবার ধামাইনগর ইউনিয়ন পরিষদে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চেয়ারম্যান রাইসুল হাসান পরিষদের সচিব ও অন্যান্য ইউপি সদস্যদের সঙ্গে একটি সুন্দর, মাদকমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহমুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ গঠনের লক্ষ্যে আলোচনা করছেন। আলোচনা সভা শেষে ইউনিয়ন পরিষদে এক শালিসি বৈঠকও করতে দেখা গেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. রোজিন পলাশসহ ইউপি সদস্যবৃন্দ এবং সকল গ্রাম পুলিশের সদস্যরা। চেয়ারম্যান রাইসুল হাসান সুমন বলেন, ইউনিয়নের উন্নয়ন ও সেবামূলক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে তিনি ও তার সহকর্মীরা সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। তথ্য অনুসন্ধানে জানাগেছে বৃহৎ এই উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনুপস্থিতিতে ব্যাহত হচ্ছে নাগরিক সেবা। বিশেষ করে জন্মনিবন্ধন, নাগরিকত্ব সনদ, মৃত্যু সনদসহ নানা রকম সনদপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন মানুষজন।আত্মগোপনে থাকা এসব জনপ্রতিনিধির মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে। ফলে তাদের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না এবং তাদের বক্তব্য নেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। জানা গেছে, উপজেলার অধিকাংশ ইউপির চেয়ারম্যান হয়েছেন বিনা ভোটে। তারা সবাই ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকার মনোনীত এবং অনুসারী। তারা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পদে রয়েছেন। চান্দাইকোনা ইউনিয়নের পশ্চিম লক্ষিকোলা গ্রামের বাসিন্দা আলিম জানান,চেয়ারম্যান না থাকায় ছেলের জন্মনিবন্ধন নিতে পারছেন না। একই কথা বললেন ঘুড়কা ইউনিয়নের ফরিদুল ইসলাম। ইউএনও মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে উপজেলা ও ইউপির চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওই নির্দেশনা অনুসারে কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
Leave a Reply