মো আব্দুল শহীদ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ শহরের দুই স্থানে ফলের দোকান উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন একাধিক ব্যবসায়ী। নতুন ফল বাজার জমে উঠতে বাঁধার সৃষ্টি করছে এই দুই দোকানের ফল ব্যবসায়ীরা। এমন মন্তব্য ফল বাজারের ব্যবসায়ীদের।
সুনামগঞ্জ ফল বাজারের সুনির্দিষ্ট স্থান শহরের স্টেডিয়ামের পাশে ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন ফলের মার্কেট নির্ধারণ করে দিয়েছে প্রশাসন। স্থায়ী বা অস্থায়ী দোকানে কেউ ফল বিক্রি করতে পারবে না পুরাতন ফলের বাজার বা আশপাশ এলাকায় কোনো স্থানে। কিন্তু তা অমান্য করে সূকৌশলে অন্যান্য মালামালের সাথে ফল বিক্রি করে চলছে পৌর মার্কেটের সামনে মাছুম ট্রেডার্স ও সদর মডেল থানার পূর্ব কোণে এমরানের ফলের দোকানে। এসব ফলের দোকানে বিচ্ছিন্নভাবে বেচাকেনা করায় ফল মার্কেটের ব্যবসায়ীরা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা এই দুই দোকানে ফলের ব্যবসা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
ফল বাজারের ব্যবসায়ী শাহীন মিয়া বলেন, ভুষিমাল বা কসমেটিক্সের দোকানে ফল বিক্রি করা একান্তই হাস্যকর। যেন উগ্রমী বা মশকারী করে ফল বিক্রি করা প্রশাসনের নিষেধের পরিপন্থী। এসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
ফলের দোকান উচ্ছেদ অভিযানে প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলে ফল বিক্রির পরিবর্তে পুরাতন কাপড়ের ব্যবসা করছেন শহরের টাউন হল মার্কেটের স্থায়ী দোকানের দুই ফলের ব্যবসায়ী। এই পুরাতন কাপড়ের ব্যবসায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানান। এই দুই ব্যবসায়ীর একজন নবী হোসেন অপর জন জহির মিয়া।
তারা জানান, ফল বিক্রির জন্য মার্কেটের পাকা দোকান কোঠা ভাড়া নিয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন নিষেধ দেওয়ায় ফল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি। এখন এই দোকানের চুক্তিবদ্ধ থাকায় দোকান ছাড়তে ও পারছি না। মাসে মাসে মোটা অংকের ভাড়া গুণতে হচ্ছে আমাদের।
তারা বলেন, এখন অন্যরা স্থায়ী দোকানে যদি সুকৌশলে ফল বিক্রি করে, তখন তো প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করলো। আমরা চাই প্রশাসনের নির্ধারিত ফলের মার্কেট জমে উঠুক। আমরা স্থায়ী এই দুই ফলের দোকান বন্ধের দাবি জানাই।
স্থায়ী দোকানের ফল ব্যবসায়ী এমরান আহমদ বলেন, আমরা ভাড়া দোকানে ৩০ বছর ধরে ফলের ব্যবসা করে আসছি। আমাদের ফল বিক্রি করায় প্রশাসন থেকে কোনো বাধা বা নিষেধ নেই।##
Leave a Reply