আজ ২৭শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সাক্ষী দেয়ায় ইউপি সদস‍্যর বিরুদ্ধে অপপ্রচার

মো আব্দুল শহীদ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মুক্তাখাই গ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে  ইউপি সদস‍্যকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করতে একটি চক্র ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

এলাকায় পূর্ব ঘটিত একটি ঘটনার সাক্ষী ওই ইউপি সদস‍্য। এই সাক্ষী হওয়াকে কেন্দ্র করে এলাকায় ইউপি সদস‍্যের বিরুদ্ধে আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে টাকা আদায়ের নানা মিথ‍্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

ইউপি সদস‍্য রাসেল আহমদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দাখিলের খবর পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, দীর্ঘ দুই বছর আগে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আশ্রায়ণ প্রকল্পের অধীনে শিমুলবাঁক ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামে ২৬টি ঘর এবং মুক্তাখাই গ্রামে আরও ৩টি ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়। এই প্রকল্প থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ তোলেন চাঁনপুর গ্রামের আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘর পাওয়া তিনটি পরিবার। এরাই মূলত: মুক্তাখাই সরকারী প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের দপ্তরী তোফায়েল আহমদকে গাছে বেঁধে মারধর করেছিল। এ ঘটনার সময় বর্তমান ইউপি সদস‍্য ও প‍্যানেল চেয়ারম্যান রাসেল আহমদ চিকিৎসা সেবা দিয়েছিলেন। ওই কারণে মামলায় তাকে সাক্ষী হিসাবে গ্রহণ করা হয়। এতেই ক্ষেপ উঠেন ওই তিন পরিবারের মামলার আসামী ঝলক মিয়া, আতিকুর রহমান ও রোকেদা বেগম গংরা।

বৃহস্পতিবার মুক্তাখাই ও চাঁনপুর গ্রামে সরেজমিনে গেলে স্থানীয় বাসিন্দা ও আশ্রায়ণ প্রকল্পের উপকারভোগী মাসুক মিয়া, আলীবুর মিয়া, আব্দুন নুর, আব্দুল কাদির, সামছুন নাহার, কামাল হোসেন, আব্দুল মজিদ, মিনারা বেগম, হারুন মিয়া, দিলোয়ার হোসেন, কবির আহমদ, রিপন মিয়া, জুয়েল মিয়া, চাঁন বানু, সুলতানা বেগম, আমিরুন আক্তার, হেলাল আহমদ, ফিরোজা বেগম সহ অনেকে বলেছেন, বর্তমান ইউপি সদস‍্য ও প‍্যানেল চেয়ারম্যান

রাসেল আহমদ আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নামে টাকা নেয়ার সুযোগ নেই। আমরা কোনো টাকা দেইনি। টাকা দেওয়ার বিষয় সম্পূর্ণ মিথ‍্যা অপবাদ প্রচার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব‍্যক্তি জানান, মুক্তাখাই গ্রামের তিন পরিবার যারা মুক্তাখাই সরকারী প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের দপ্তরী তোফায়েল আহমদকে গাছে বেঁধে মারধর করেছিল, এ ঘটনায় মামলার আসামী তারাই এসব ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। কারণ ইউপি সদস‍্য রাসেল আহমদকে ওই মামলার সাক্ষী হিসাবে নেয়া হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা লিমন মিয়া বলেন, বর্তমান ইউপি সদস‍্য  রাসেল আহমদ আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নামে টাকা নেয়নি। এটা সম্পূর্ণ মিথ‍্যা প্রচার দিয়ে যাচ্ছে একটি মহল।

আসলে এই আশ্রায়ণ প্রকল্প সরকার আরও দুই বছর আগে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে। এখন অন‍্য কারণে এমন প্রচারনা দেওয়া হচ্ছে। এটা সমাজে নিন্দনীয়।

শিমুলবাঁক ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সদস‍্য ও প‍্যানেল চেয়ারম্যান রাসেল আহমদ বলেন, মুক্তাখাই সরকারী প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের দপ্তরী তোফায়েল আহমদকে গাছে বেঁধে মারধর করেছিল। এসময় তোফায়েলকে বাঁচাতে চিকিৎসা করাই। পরে আমাকে মামলার সাক্ষী নেয়া হয়।

এতেই আসামী পক্ষ ক্ষুদ্ধ হয়। এখন আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমি নিন্দা জানাই এবং সুষ্ঠু বিচার চাই।

শিমুলবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনুর রহমান বলেন, বর্তমান ইউপি সদস‍্য রাসেল আহমদ আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নামে টাকা নেয়নি। এটা সম্পূর্ণ মিথ‍্যা। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ