শাহাদাত হোসেন নোবেল, দিঘলিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের দেয়াড়া গ্রামবাসীর আয়োজনে ২২ আগষ্ট বৃহস্পতিবার দিঘলিয়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের দেয়াড়া মোল্লার মোড়ে বিকাল ৪ টায় শেখ আবু জাফর এর সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক সেখ মুনিবুর রহমান (মুনিম) এর পরিচালনায়
সাবেক এমপি, বার্ বার্ নির্বাচিত চেয়ারম্যান, প্রখ্যাত জননেতা, দিঘলিয়ার কৃতি সন্তান শেখ সাহিদুর রহমানের ৩ য় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া উক্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সাবেক এমপি শেখ সাহিদুর রহমানের স্মৃতিচারণ মূলক আলোচনা সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন মোঃ বিল্লাল হোসেন, মোঃ আমির আলী, মোঃ শাহীন, মেম্বার খান আরিফুল ইসলাম, প্রভাষক মোল্লা সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, মোঃ হোসেন আলী, মেম্বার পাখি বেগম, মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ সোবাহান মোল্যা, এবিএম আতিকুল ইসলাম, এবিএম শফিকুল ইসলাম, জিএম আকরাম, এমএ বাচা, মোঃ সোহরাব হোসেন, মোঃ নাসিম, শামিমুর রহমান এবং শেখ আনসার আলী সহ আরও অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
এ সময় বক্তারা বলেন, “দিঘলিয়া এলাকাটি মূলত পাটশিল্পের জন্য খ্যাত। এখানে রয়েছে বেশ কয়েকটি জুটমিল এবং অনেকগুলি পাটের গোডাউন। এছাড়া খুলনার শিল্প এলাকা এই দিঘলিয়ার পাশ দিয়েই অবস্থিত। তাই এই এলাকায় প্রচুর পরিমাণে শ্রমিকদের বসবাস। সাবেক এমপি শেখ সাইদুর রহমান সর্বদাই কৃষক, শ্রমিক তথা শ্রমজীবী মানুষের সুখ দুঃখের সাথী ছিলেন। তিনি সর্বদাই মেহনতি মানুষের কথা ভাবতেন, তাদের পক্ষে কথা বলতেন এবং তাদের যেকোন বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়াতেন। তার নীতি এবং আদর্শ ছিল গরিব-দুঃখী মেহনতী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। মেহনতী মানুষের আনন্দতে তিনি হাসতেন এবং দুঃখে তিনি ভারাক্রান্ত এবং ব্যথিত হতেন। তিনি চাইলে অনেক ধন দৌলতের মালিক হতে পারতেন, ঢাকায় কয়েকটি বাড়ি করতে পারতেন, গাড়ি করতে পারতেন কিন্তু তিনি তা করেন নাই। এমনই এক কালজয়ী পুরুষ ছিলেন শেখ সাইদুর রহমান। তাই আপনারা যদি তাকে ভালোবাসেন , তাঁর আদর্শ যদি বাঁচিয়ে রাখতে চান তাহলে আপনাদের মনে প্রাণে তাঁর নীতি ও আদর্শকে ধারণ করে অনুসরণ করতে হবে। তিনি চলে গেছেন কিন্তু তিনি তার কাজ কর্মের মধ্য দিয়ে এ এলাকার জনগণের মাঝে বেঁচে আছেন। মহান রাব্বুল আল আমিন তাকে বেহেস্ত নসিব করুন।”
আলোচনা সভা শেষে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ নাজমুস সাকিব।
Leave a Reply