আজ ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সুরমা ইউপি’র হালুয়ারগাঁও গ্রামে হামলায় বাড়িঘর ভাংচুর আহত ৩

মো আব্দুল শহীদ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের হালুয়ারগাঁও গ্রামে হামলায় বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ‍্যা অনুমান সাড়ে ৫টায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।

হামলার ঘটনায় ফেদৌস মিয়ার পরিবারের ৩ জন গুরুতর আহত হয়। তারা হলেন, সুনামগঞ্জের সরকারী কলেজের ছাত্র আহত মাহবুব আলী (২২), পিতা ফেরদৌস মিয়া, অপু মিয়া (২০), পিতা অদুদ মিয়া, মোফাজ্জল হোসেন (২৫) সহ আরও অনেকে। আহতরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

প্রত‍্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েকদিন আগে দুইজনের বাড়ির সীমানা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। এই দ্বন্দ্ব গ্রাম‍্য সালিশে মীমাংসা হয় মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪ টায়। প্রায় ১ ঘণ্টা পর একই গ্রামের বিবাদী ফারুক মিয়া গংরা এই হামলা ঘটনা ঘটায়।

স্থানীয়রা জানান, ওইদিন সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৫ টায় ফারুক মিয়ার ছেলে মইনুল হক, শাহিনুর মিয়া, আলীম উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন, আব্দুল আজিজের ছেলে তাজুল হক সহ ১২/১৩ জন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে বাড়িঘরে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় মহিলারা ও শিশুরা চিৎকার করে এলোপাতারি দৌঁড়ে পালায়। তাদের চিৎকারে হালুয়ারঘাট বাজারের শত শত মানুষ উপস্থিত হয়ে আহতদের উদ্ধার করেন। এ সময় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

এই ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত সদর মডেল থানার পুলিশ এসআই ফজল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয় একাধিক ব‍্যক্তি জানান, ফারুক মিয়া জোরপূর্বক ফেরদৌস মিয়ার পরিবারের জায়গায় পাকাঘর নির্মাণ করতে চায়। এতে তারা বাধা দেয়। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এই দ্বন্দ্ব নিষ্পত্তি হয় হামলার ১ ঘণ্টা আগে। তার ছেলেরা অত‍্যন্ত উগ্র প্রকৃতির। গ্রামে ঝগড়া বিবাদ লেগেই আছে ফারুক গংদের উৎপাতে।

অভিযুক্ত ফারুক মিয়া বলেন, আমার ছেলের সাথে ঝগড়াকে কেন্দ্র করে এই মারামারির ঘটনা ঘটে।

হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ফেরদৌস মিয়া বলেন, আমার ঘর ভেঙেছে। আসবাবপত্র নষ্ট করেছে। আমাদের পরিবারের অনেককে মারধর করেছে। আমার সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজে পড়ুয়া ছেলেকে বেদড়ক মারপিট করেছে ফারুক গংরা। আমরা এর বিচার চাই।

সুরমা ইউপি সদস‍্য আব্দুল হাই বলেন, ফারুক গংদের দ্বারা এমন ঘটনা সত‍্যি নিন্দনীয়। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্ব আইনী ব‍্যবস্থা নেয়া উচিৎ। বাড়ির জায়গার বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ার পর পরই এমন ঘটনা এলাকার মান-সম্মানে আঘাত এনেছে।

সুরমা ইউপি সদস‍্য ফিরোজ মিয়া বলেন, সালিশের ১ ঘণ্টা পর ফারুক গংরা এমন হামলার ঘটনা ঘটাবে তা ভাবতেও পারিনি। এটা শুধু এখন ফেরদৌস পরিবারের নয়। এটা গ্রামের পঞ্চায়েতবর্গকে অপমান করা হয়েছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আইনী ব‍্যবস্থা নেয়া দরকার।

সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো আবুল কালাম জানা ন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ