আজ ৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সুরমা নদী থেকে ভারতীয় জিরা ছিনতাই, আহত ৩

মো আব্দুল শহীদ সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বড়পাড়া এলাকায় সুরমা নদীতে নৌকা আটকিয়ে ভারতীয় জিরা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবাগত রাত ১০টায় এই ঘটনা ঘটে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় মাঝি সহ ৩ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হাবিবুর রহমান (৩০)কে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য দুইজন প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করেছেন। জানা যায়, সদর উপজেলার বেরীগাঁও গ্রামের ভারতীয় মালামালের ব‍্যবসায়ী চোরাকারবারী নামে পরিচিত মো. আনোয়ার হোসেন প্রতিবারের মতো ওইদিন হালুয়ারঘাট বাজারের নদীরপাড় থেকে ট্রলার নৌকায় ভারতীয় জিরা ভর্তি করে ভৈরবে পাঠাতে নদীপথে রওয়ানা হন। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বড়পাড়া এলাকায় সুরমা নদীতে আসার পর হামলা করে ছিনতাইকারীরা। তখন নৌকার লোকজনকে মারপিট করে ৪০ বস্তা জিরা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ছিনতাইকারীদের হামলায় সুরমা ইউনিয়নের মইনপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান (৩০), একই গ্রামের সালেক আহমদ (২৫) ও মমিন মিয়া (১৮) আহত হন। ছিনতাই হওয়া ৪০ বস্তা জিরার মধ‍্যে প্রতিটি বস্তায় ছিল ৩০ কেজি করে জিরা। ভারতীয় বাজারে ক্রয় মূল‍্য ৫৫০ টাকা করে প্রতি কেজি। সুনামগঞ্জের বাজারে প্রতি কেজি জিরার মূল সাড়ে ৮ শত টাকা করে।

এই চোরাকারবারী আনোয়ার হোসেনের ইতিপূর্বে আরও ১২টি ভারতীয় মহিষ আটক করে সদর থানার পুলিশ। পরে ১২টি জব্দকৃত মহিষ মামলা করে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

এদিকে সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের মঙ্গলকাটা গরু বাজারের ভূঁয়া হাসিল রশিদ দেখিয়ে সুনামগঞ্জের আদালত থেকে জামিনে ছাড়িয়ে মহিষগুলো নিয়ে যান আনোয়ার হোসেন।

ছিনতাইকারীর হামলায় আহত হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনার রাতে আমি নৌকায় ছিলাম। হালুয়ারঘাট বাজার হতে নৌকা ছেড়ে বড়পাড়া এলাকায় যাওয়া মাত্রই ছিনতাইকারীরা একটি ট্রলারে করে দ্রুত বেগে এসে আমাদের নৌকা আটকানোর পর ছিনতাইকালে আমরা বাঁধা দিলে আমাদেরকে মারপিট করে ৪০ বস্তা জিরা ছিনতাই করে নিয়ে যায় । এ ব‍্যাপারে চোরাকারবারী মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সুরমা নদী থেকে আমার ৪০ বস্তা ভারতীয় জিরা ছিনতাই হয়েছে। ওইদিন হালুয়ারঘাট বাজারের নদীরপাড় থেকে ট্রলার নৌকায় জিরা ভর্তি করে ভৈরবে যাওয়ার জন্য নদীপথে রওয়ানা হলে। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বড়পাড়া এলাকায় সুরমা নদীতে আসার পর নৌকার মানুষজনকে মারপিট করে এই ৪০ বস্তা জিরা ছিনিয়ে নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। আনোয়ার হোসেন প্রতিবেদককে আরো জানান, আমি অনেক খোঁজাখুজি করেছি কিন্তু মালামালের কোন সন্ধান পাইনি।

এগুলো ভারতীয় মাল রিপোর্ট করার কোন দরকার নাই। শেষ পযর্ন্ত যদি জিরার সন্ধান না পাই তাহলে রিপোর্ট করব। আমার যে ১২টি মহিষ সদর থানা পুলিশ আটক করেছিল সেগুলো মঙ্গলকাটা গরু বাজারের হাসিল রশিদ দিয়ে আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ