আজ ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

স্বাস্থ্যকর্মীদের বেতন ভাতা, প্রণোদনার টাকা আত্নসাৎ,স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন

মো আব্দুল শহীদ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আজ্ঞাবহ সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ শরীফুল আবেদীন কমল কর্তৃক কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও হিন্দু কর্মচারীদের দূর্গোসবের বোনাস সম্পূণ অবৈধভাবে না দেওয়া এবং ইউনিসেফ এর প্রাপ্ত প্রণোদনার যাতায়াত ভাতা বিল ভাউচারে জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন অবিলম্বে তাকে প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন কমসূচী পালিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে ৪ টায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগের সকলভুক্তভোগী কর্মচারীদের আয়োজনে আলফাত স্কায়ার ট্রাফিক পয়েন্টে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তারা জানান, সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে কর্মরত রয়েছেন স্বাস্থ‍্য সহকারী, স্বাস্থ‍্যকর্মী ও সহকারী স্বাস্থ‍্য পরিদর্শক পদে এবং স্বাস্থ‍্য পরিদর্শক পদে স্বাস্থ‍্যকর্মীরা সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এবং বেতনও পেয়ে আসছিলেন তারা। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে তথ‍্য উদঘাটন করে সদর উপজেলা স্বাস্থ‍্য প.প. কর্মকর্তা শরীফুল আবেদীন কমলের বিরুদ্ধে কয়েকটি পত্রিকায় বিপুল অর্থ আত্নসাত ক‍্যালেংকারীর সংবাদ ছাপা হয়।

তখন তিনি স্বাস্থ‍্যকর্মীদের সন্দেহ করেন। পরবর্তীতে তাদের বেতন দেয়া বন্ধ রাখেন। এতে তারা বিপাকে পড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বেতন ভাতা ও প্রণোদনার টাকা আত্মসাৎ এর প্রতিবাদে ডাঃ মোহাম্মদ শরীফুল আবেদীন কমলকে অপসারণের দাবী জানাই।

সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের স্বাস্থ‍্যকর্মী শহীদুল হক চৌধুরী জানান, আমরা দায়িত্ব পালন করে আসছি সঠিকভাবে। কিন্তু সদর উপজেলা স্বাস্থ‍্য প.প. কর্মকর্তা শরীফুল আবেদীন কমল স‍্যার কেন যেন আমাকে শোকজ করেছেন তা আমি বোধগম‍্য নই। কিন্তু আমি প্রায় তিন মাসের বেতন পাচ্ছি না। এতে ঘর-সংসারের খরচ নিয়ে মারাত্মক বিপাকে পড়েছি। শুধু তাই নয় প্রণোদনার টাকা আত্মসাৎকারী ডাঃ মোহাম্মদ শরীফুল আবেদীন কমলের অপসারণ দাবি করছি।

জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের স্বাস্থ‍্যকর্মী ফরিদুল ইসলাম বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর স‍্যারের বিরুদ্ধে সংবাদ ছাপা হয়েছে কয়েকটি পত্রিকায়। এ সময় স‍্যারের সাথে ভাল সম্পর্ক থাকার পরও তিনি সন্দেহ করেছেন। পরে আমাকে বিনা কারণে শোকজ করেছেন এবং প্রায় ৪ মাস ধরে বেতন বন্ধ করে রেখেছেন। আমি মানবেতর জীবনযাপন করছি। বেতন ভাতা হিন্দু কর্মচারীদের দূর্গোসবের বোনাস আত্মসাৎকারী ডাঃ শরীফুল আবেদীন কমলের অপসারণ দাবি করছি।

মোহনপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের স্বাস্থ‍্যকর্মী রাকু চৌধুরী বলেন, আমাদের বেতন বন্ধ থাকায় পরিবারের খরচ যোগান নিয়ে আর্থিক সংকটে পড়েছি। আমাদের বেতন দেওয়ার দাবি জানাই এবং আত্মসাৎকারী ডাঃ মোহাম্মদ শরীফুল আবেদীন কমলের অপসারণ দাবি করছি।

সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, স্বাস্থ‍্যকর্মীদের বেতন বন্ধ এবং মানববন্ধনের বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। এই বিষয়টি চলে গেছে আমার ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে। এবিষয়ে তদন্ত হয়েছে। ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের মাধ‍্যমে বিষয়টি সমাধান হবে আশা করছি ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ