আজ ৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ভারতে বাংলাদেশি নাগরিক নিহত, তিন দিন পরও লাশ উদ্ধার হয়নি

মো আব্দুল শহীদ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি  : তাহিরপুর সীমান্তে ভারতীয়দের হাতে শেখ ফরিদ নামে এক বারকি শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত ফরিদ সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবির তাহিরপুরের লাউরগড় বিওপি নিয়ন্ত্রিত এলাকা লাউরগড় সীমান্ত গ্রামের মগবুল হোসেনের ছেলে।

বৃহস্পতিবার রাতে ২৮ বিজিবির তাহিরপুরের লাউরগড় বিওপির বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার কামাল হোসেন বলেন, এমন একটি খবর লোকমুখে শুনেছি, কেউ কেউ বলেছেন ফরিদ আটক আছেন ভারতে, আবার কেউ কেই বলছেন ফরিদ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আমরা এখনো ফরিদ জীবিত না মৃত তা নিশ্চিত হতে পারিনি এমনকি বিজিবির কাছে ফরিদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো খবর জানায়নি।

তাহিরপুরের সীমান্তগ্রাম লাউরগড়ের নানা শ্রেণিপেশার মানুষজন জানান, মঙ্গলবার রাতে জাদুকাটা নদীর জিরো লাইন অতিক্রম করে নৌকা নিয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের নলিকাট্যা থানার ঘোমাঘাট বস্তির তীরসংলগ্ন নদীতে পাথর উত্তোলন করতে যান সেখ ফরিদসহ একাধিক বারকি শ্রমিক। ওই রাতে বাংলাদেশি বারকি শ্রমিকদের দেখতে পেয়ে ভারতীয় নাগরিকরা সংঘবদ্ধ হয়ে ধাওয়া করে সেখ ফরিদকে আটক করে বেধড়কভাবে গণপিটুনি ও দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ফরিদের সঙ্গে থাকা অন্য শ্রমিকরা নদী সাঁতরিয়ে পালিয়ে এসে ফরিদের পরিবারকে জানান।

বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার লাউরগড় সীমান্ত গ্রামের বাসিন্দা ভারতে হত্যাকাণ্ডের শিকার ফরিদের স্ত্রী তাছলিমা বেগম বলেন, ওই রাতে আমার স্বামীর সঙ্গে থাকা অন্য শ্রমিকরা নদী সাঁতরিয়ে পালিয়ে এসে আমাদের হত্যাকাণ্ডের খবর জানান।

চার শিশু সন্তানের জননী তাছলিমা আরও বলেন, লাউরগড় বিজিবি ক্যাম্পের পাশেই আমাদের বসতবাড়ি, সব কিছু জেনেও বিজিবি আমার স্বামীর লাশ ফেরত আনতে কোনোরকম উদ্যোগ নেয়নি। মঙ্গলবার রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার রাত তিন দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও ভারতে কী অবস্থায় কোথায় পড়ে আছে আমার স্বামীর লাশ- তা আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি।

বৃহস্পতিবার রাতে সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল জাকারিয়া কাদিরের সরকারি মোবাইল ফোনে ও হোয়াটসঅ্যাপে ভারতে শ্রমিক ফরিদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।##

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ