খুলনা প্রতিনিধি : খুলনার সরকারি বি.এল কলেজ ৯২-৯৩ ছাত্রসংসদের নির্বাচিত এ. জি. এস, ভারপ্রাপ্ত জি.এস, দৈনিক প্রবাহের স্টাফ রিপোর্টার ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কলেজ সভাপতি শহীদ আবুল কাশেম পাঠান-এর ৩০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে বসুপাড়া ইয়াতিমখানা মোড়ে খুলনা মহানগর ছাত্রশিবির এ আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্র আন্দোলন ও ফাউন্ডেশন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন। খুলনা মহানগর সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলনের সভাপতিত্বে ও সাহিত্য সম্পাদক তৈয়েবুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলনা মহানগর শাখার সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন হেলাল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলনা জেলা সহঃ সেক্রেটারি মিয়া গোলাম কুদ্দুস,তৎকালীন সরকারের বিএল কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি অ্যাডভোকেট জাকিরুল ইসলাম, শহীদ আবুল কাশেম পাঠানের বড় ভাই আবুল কালাম পাঠান, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগর শাখার সাবেক সভাপতি জাহিদুর রহমান নাঈম সহ ছাত্রশিবির খুলনা মহানগরের সেক্রেটারিয়েটরা।
প্রধান অতিথি বলেন, মেধাবী ছাত্র শহীদ আবুল কাশেম পাঠান স্মৃতির পাতায় তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখে গেছেন। যার স্মৃতি গুলো আমাদেরকে সব সময় তাড়িয়ে বেড়ায়। যার শূণ্যতায় আজও তার সাথীদের প্রতিটি রাত অশ্রু ঝরায়। খুলনার জমীন যার রক্তে উর্বর এবং প্রতিনিয়ত দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের ডাক দিয়ে যায় তিনি হলেন বিএল কলেজের মেধাবী ছাত্র আমাদের প্রিয় ‘শহীদ আবুল কাশেম পাঠান’ ১৯৯৪ সালের ২৩ অক্টোবর সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মম ভাবে শহীদ হয়ে চলে গেলেন প্রভুর কাছে, আল্লাহর কাছে দোয়া আল্লাহ তাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুক।
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালের ২৩ অক্টোবর খুলনা সরকারি এম.এম মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজের সামনে বি.এল কলেজ ছাত্রসংসদের নির্বাচিত এ.জি.এস ও ছাত্রশিবিরের সরকারি বি.এল কলেজের সভাপতি ব্যবস্থাপনা সম্মান শেষ বর্ষের মেধাবী ছাত্র শহীদ আবুল কাশেম পাঠানকে লক্ষ্য করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গুলি চালালে তার মৃত্যু হয়।
Leave a Reply