মো আব্দুল শহীদ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে ভূমি জবরদখলের পায়তারা।
আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, একই গ্রামের আব্দুল আলী ও মোবারক হোসেন গংরা ভূমির রেকর্ডীয় মালিক আব্দুল হাসিম এর ভূমিতে রড ও ইট, বালু-পাথর, কাঠ টিন দ্বারা বসতঘর নিমার্ণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এদিকে ভূমির রেকর্ডীয় মালিক আব্দুল হাসিম প্রতিপক্ষগংদের নিষেধ-বাঁধা দিলে তার প্রতিবন্ধী ছেলে আব্দুর রহিম সাগরকে ঠেলা ধাক্কা মেরে এক পযার্য়ে মারধর করে। এ ঘটনায় আব্দুল হাসিম বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সদর জোনে মোবারক হোসেন (২৫),আব্দুল আলী (৫০),আব্দুল হামিদের ছেলে আবুল কাসেম (৩৮),ওসমান মিয়া (৩২), জসিম উদ্দিন (২৮) এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। বিবিধ মোকদ্দমা নং ৪৯৬/২৪ইং সদর।
ভুক্তভোগী আব্দুল হাসিম জানান,আব্দুল আলী ও মোবারক হোসেন গংরা আমার দখলীয় ভূমি গ্রাস করার জন্য বিভিন্ন ভাবে পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। সৈয়দপুর মৌজার, জেএলনং ৪৪,আর এস ৯,এসএ ১৩১৮ নং দাগে আব্দুল আলীর প্রাপ্ত অংশ ০.০৬ একর ভূমি বিগত ৩/৬/২০০৯ ইং তারিখে ১৮১৯ নং রেজিঃ সাফকবালা দলিল মূলে আমি ও আমার স্ত্রী পারুল আক্তারের নিকট বিক্রি করে স্বত্ত্ব দখল ত্যাগী হন। উত্তরাধিকারী ও খরিদ সূত্রে আমার বাড়ি রকম ভূমিতে দালান ঘর,টিনশেড ঘর,গোয়ালঘর,রান্নাঘর সহ গাছ গাছালী লাগিয়ে ও আমন রকম ভূমিতে ফসল ফলাইয়া স্বত্ববান ভোগ দখলকার আছি। এ মতাবস্থায় আব্দুল আলী ও মোবারক হোসেন গংরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঐ ভূমির মাটি কেটে গর্ত করে ধানের কলা সহ বসতবাড়ী নিমার্ণের পায়তারার চালিয়ে যাচ্ছেন। নিষেধ দেয়ায় আমি সহ আমার পরিবারের লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
অভিযুক্ত আব্দুল আলী জানান, এসআই আনিসুর রহমান ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে ধান শুকানোর জন্য কলা তৈরি করেছি। দেনদরবার শেষ হওয়ার পর বসতঘর নিমার্ণ করবো। ধান শুকানোর পর গর্ত ভরাট করে দেব।
স্থানীয় সৈয়দপুর গ্রামের শালিশী ব্যক্তিত্ব হাছন আলী ও আব্দুল মজিদ জানান, এই ভূমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার পর পরেই আমরা উভয় পক্ষকে ডেকে নিষেধ করেছি ঐ ভূমিতে কোন কিছু না করার জন্য। কিন্তু আব্দুল আলী গং মাটি কেটে কলা তৈরি করছে।
সদর মডেল থানার এসআই মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান,কোর্টের নোটিশ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আপোষ করে দেওয়ার জন্য তারা বসতে চায়। বিষয়টি থানার নয় আদালতের। তাই তাদেরকে বলেছি আদালতে হাজির হওয়ার জন্য।
Leave a Reply