স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে ফরিপুর-১ আসনে ভূমি দখল, হামলা ও জায়গা থেকে উচ্ছেদ এর প্রতিকার চাইতেই আব্দুল আউয়াল খন্দকার, চেয়ারম্যান কে, এইচ, কে লিমিটেড সাংবাদিক সম্মেলনে করেন। আজ শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেন করেন আব্দুল আউয়াল খন্দকার কে, এইচ, কে লিমিটেড এর চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, আমিআব্দুল আউয়াল খন্দকার কে, এইচ, কে লিমিটেড এর চেয়ারম্যান। আমার স্থায়ী ঠিকানা- গ্রাম পোঃ কাদিরদী, থানা- বোয়ালমারী, জেলা- ফরিদপুর। আমি একজন বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির নাগরিক। আমি প্রতি বছর সরকারকে প্রচুর টাকা ট্যাক্স প্রদান করি। ব্যাক্তিগতভাবে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নাই, না থাকলেও ব্যাক্তিগতভাবে বিএনপি সকল রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের সাথে পরিচিত, কিন্তু আজ এই বৃদ্ধ বয়সে এসে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে ফরিপুর-১ আসনে আমার ভূমি দখল, হামলা ও জায়গা থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছে এর প্রতিকার চাইতেই আপনাদের সম্মুখে আসতে হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ফরিদপুর- ১ (বোয়ালমারী, মধুখালী ও আলাফাডাঙ্গা) থানার বাসিন্দারা বিএনপি নেতা নামধারী খোন্দকার নাসিরুল ইসলাম (নাসির) ও তার ছোট ভাই খোন্দকার নাজিরুল ইসলাম (নাজির) এর ত্রাসের রাজত্ব থেকে মুক্তি পেতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি’র হাই কমান্ডের দৃষ্টি প্রার্থনা করছি।
ফরিদপুর-১,বোয়ালমারী, মধুখালী ও আলফডাঙ্গায় উপজেলায় বিএনপি’র নামে চলছে চাঁদাবাজি, ভূমিদখল, কিশোরগ্যাং প্রতিষ্ঠা, হুমকি-দমকি, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, দখল, সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে এক ত্রাসে রাজত্ব কায়েম করেছে বিএনপি দলের ১৫ দিনের এক সাবেক এমপি, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও ফারিদপুর জেলা বিএনপি দলের সদস্য, খোন্দকার নাসিরুল ইসলাম (নাসির)। তাদের হাত থেকে রেহাই পায়িনি বিএনপির নিজ দলিয় লোকজন। থানায় মামলা করতে গেলেও তাদের ভয়ে মামলা নিতে সাহস পায়নি পুলিশ প্রশাসন। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ভূক্তভোগী পরিবার থেকে সাধারণ ডায়রী ও অভিযোগ দায়ের করা হলেও নাই কোন প্রতিকার। অভিযোগকারী পরিবার রয়েছে ভয়ভীতির মধ্যে।
তিনি আরো বলেন, মোঃ আব্দুলা তুষার তাদের দুই ভাইয়ের কর্মকান্ড নিয়ে নিউজ করায় সে মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের ভয়ে এলকা ছাড়া। প্রতিকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস ও বিএনপির চেয়ারপার্সন এর দৃষ্টি আকর্ষনে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন।
কে, এইচ, কে লিমিটেড এর চেয়ারম্যান হিসেবে আপনাদের অবগতি করছি যে, গ্রাম- মহিশালা, পো-ধোবাঘাতা, থানা- বোয়ালমারী তে অবস্তিত পুকুরসহ দশ (১০) একর আটান্নো (৫৮) শতাংশ জমির ক্রয়সূত্রে মালিক কে,এইচ,কে লিমিটেড। ০৭/০৯/২০১৭ তারিখে কে, এইচ, কে লিমিটেড, জাশো এগ্রো ফিশারিজ লিমিটেড কোম্পানির কাছ থেকে দশ (১০) একর আটান্নো (৫৮) শতাংশ জমি বোয়ালমারী সাব রেজিস্টার অফিস থেকে দলিল করে নেওয়া হয়, যাহার দলিল নং-৩৭৩৩। দলিল করিয়া নেয়ার পরে পুকুরসহ দশ (১০) একর আটান্নো (৫৮) শতাংশ জমি আমাদের দখল বুঝিয়ে দেয়। হাল সনের খাজনা পরিশোধ , সেই মোতাবেক এলকার জেলে পরিবাদের পক্ষে সুকুমার মাঝির গং দের সাথে আমাদের কে, এইচ, কে লিমিটেড এর ০৩ বছর অন্তর অন্তর চুক্তি হয় এবং চুক্তি মোতাবেক মাছ চাষাবাদ করেন।
৫ ই আগস্ট ফ্যাসিষ্ট সরকার পতনের পর পার্শ্ববর্তী গ্রামের সাতৈর নিবাসী খোন্দকার নাসিরুল ইসলাম (নাসির) এবং তার ছোট ভাই খোন্দকার নাজিরুল ইসলাম (নাজির), গ্রামঃ- সাতৈর পোঃ- ধোবাঘাটা, থানা- বোয়ালমারী, জেলা- ফরিদপুর, বিভিন্ন সন্ত্রাসর রাজত্ব কায়েম করে। সাধারন মানষ তথা সকলের সাথে আমিও তার হাত থেকে রেহাই পাইনি। গত দেড় মাস আগে আমার কে,এইচ, কে লিমিটেড, আউয়াল সেন্টার বনানী এর অফিসে এসে আমাকে বলে যে, আমি আগামী নির্বাচনে বিএনপি পক্ষে ফরিদপুর-১ আসনে নির্বাচন করবো। আমারা বিএনপি করি, আমার তিন থানা বোয়ালমারী, মধুখালী, আলফাডাঙ্গা, আমারই কর্মীদের দেখতে হয়। তাই আমার কাছে ২০ (বিশ) লক্ষ টাকা দাবি করে, আমি উক্ত টাকা দিতে অসম্মতি জানাই । তারই কিছুদিন পর নাসির, নাজির সহ নাসিরের লোকজন পুকুরে আসিয়া উক্ত পুকুর সহ আসে পাশের জমি দখল নিয়াছে এবং আমাদের কোম্পানির ০৩ (তিনটি) সাইনবোর্ড ভেঙে নিয়ে যায়, সকল জেলেদের মেরে তাড়িয়ে দিয়ে ০২(দুইটি) রুম দখল নেয় । এই বলে হুমকি দেয় যে, ওই জমির আশে-পাশে তোদের কাউকে দেখলেও তাদের মেরে পুকুরে ডুবিয়ে দেয়া হবে কেউ জানতেও পারবেনা।
সংবাদ পাওয়ার পর আমার ভাতিজা খন্দকার মারুফ আহমেদ (সাদ), এবং অফিস স্টাফ ২/৩ জন নিয়ে পুকুরের যায়, যাওয়া মাত্র নাজিরুল ইসলাম (নাজির) বলে যে, উক্ত পুকুরের মধ্যে সাইফুল্লাহ তারেক ও মাতার কিছু জমি পুকুরের মধ্যে আসে যেটা নিয়ে হাই কোর্টে মামলা চলমান, উক্ত বিষয় হাই কোর্টের নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কেউই পুকুর পারে আসতে পারবে না, তত দিন পুকুর আমাদের দখলে থাকবে। তখন আমার ভাতিজা সহ লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়, এক পর্যায়ে তাদের কিশোর গ্যাং ও হেলমেট বাহিনী দিয়ে আমার ভাতিজা ও অফিস স্টাফদের উপর হামলা চালায়, তাদের আহত করে। তারা হুশিয়ার করে বলে যে, তোদের কাউকে যদি পুকুরের আশেপাশে দেখতে পেলে তবে প্রানে মেরে ফেলব, লাশ গুম করবো, কোন পুলিশ কিংবা প্রশাসন আমার ভয়ে এই এলাকায়ই আসবেনা। অন্য স্টাফদের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি, হামলায় জড়িত থাকা কিশোর গ্যাং ও হেলমেট বাহিনী কয়েকজনকে আমার ভাতিজারা চিনতে পেরেছে। উক্ত বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে তাদের ভয়ে পুলিশ মামলা নিতে ভয় পায় অবশেষে অভিযোগ দেয়া হলেও নাই কোন পুলিশী পদক্ষেপ।
নাসির গংরা গত- ৩১-১২-২০২৪ইং তারিখে সুকুমার মাঝিকে পুকুরে কাছ থেকে বের করে
দেয়, তাহার ৩০ লক্ষ টাকার মাছ পুকুরে চাষাবাদ অবস্তায় রয়েছে, এখন খোন্দকার নাসিরুল ইসলাম (নাসির) এবং তার ছোট ভাই খোন্দকার নাজিরুল ইসলাম (নাজির) সহ এর লোকজন পুকুর দখল নিয়ে মিষ্টি বিতরন করে।
উল্লেখ্য যে, নাসির ইসলাম গংদের সন্ত্রসী কর্মকান্ডের নিউজ মানব জমিন, উত্তরাধিকার ৭১, প্রহর ও রাজধানী টিভিতে প্রচার করায় প্রতিনিধি মোঃ আব্দুলা তুষার এর নামে মিথ্যা মামলা,বাড়ীঘরে হামলা ও পাণনাশের হুমকি দেয়ায় সে এখন এলকাছাড়া। সাংবাদিক তুষার এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানায় ১৭ জনের অভিযোগ দায়ের করেন।
নাসিরুল ইসলাম নাসির ও নাজির উদ্দিন নাজির এর নামে বোয়ালমারী থানায় সাধারন ডায়রী নং-৯৩১, তারিখ-২২/১২/২০২৪ইং, এবং অভিযোগ দায়ের ২৫/১২/২০২৪ ইং।
Leave a Reply