শিরোনাম :
বুড়িচংয়ে গোমতী নদীর চর থেকে অটোচালক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার; গ্রেফতার ১ এমইউজে রাশিদুল সভাপতি-রানা সম্পাদক ও মতি কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত মেলান্দহে ধানের শীষের পক্ষে শ্রমিকদলের মিছিল বোদায় ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী যুবকের মৃত্যু পলশা মহেষপুর পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ফজলে রাব্বি ও সম্পাদক আমিরুল  মধ্যনগরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে সিআর ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেফতার বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পদ্মা-তিস্তার পানি বণ্টন ইস্যুতে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখবে : মির্জা ফখরুল আদারভিটা ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে অসহায় হতদরিদ্রদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ “সাংবাদিকরা জীবন বাজি রেখে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করেন” : নজরুল ইসলাম  তারেক রহমানের ৩১ দফাই রাষ্ট্র গঠনে সার্বজনিন দিক নির্দেশনা : মনিরুল হক চৌধুরী
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন

লোডশেডিং এ অতিষ্ঠ রাজিবপুর-রৌমারীর গ্রাহক

Reporter Name / ১৩৮ Time View
Update : শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫

আতাউর রহমান, রাজিবপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রাজিবপুর ও রৌমারী উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে চলমান বিদ্যুৎ সংকট এখন চরমে পৌঁছেছে। প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকছে না। বাকি সময়টুকুতে বিদ্যুৎ এলেও তা থাকে লো-ভোল্টেজে। ফলে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি প্রায় অকেজো হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় জনজীবন চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে।

প্রচণ্ড গরমে ফ্যান, এসি ও ফ্রিজ ব্যবহার করতে না পারায় সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। ফ্রিজে রাখা খাদ্যদ্রব্য নষ্ট হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছে না এবং অনলাইনে কাজ করা পেশাজীবীরাও ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিশেষ করে সাংবাদিকদের সংবাদ পাঠাতে অসুবিধা হচ্ছে। ক্ষতির মুখে পড়েছেন খামারিরাও। বিদ্যুৎ না থাকায় ব্রয়লার মুরগীর খামারগুলোতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে না, ফলে মুরগি অসুস্থ হয়ে মারা যাচ্ছে। এতে খাদ্য নিরাপত্তাও হুমকির মুখে।

এ সংকটের প্রভাব পড়েছে সরকারি অফিস ও স্বাস্থ্যসেবায়ও। হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীর চাপ থাকলেও বিদ্যুতের অভাবে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিবেশী জেলা শেরপুর ও জামালপুরে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন রাজিবপুর ও রৌমারী বছরের পর বছর বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রাজিবপুর ও রৌমারী বিদ্যুৎ চাহিদা ২২ মেগাওয়াট হলেও সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ১২ থেকে ১৪ মেগাওয়াট। শেরপুর থেকে সরবরাহকৃত বিদ্যুৎ ৩৩ কেভি হওয়ার কথা থাকলেও তা কমে যাওয়ায় ভোল্টেজও স্বাভাবিক থাকে না। ফলে লোডশেডিং বেড়েই চলেছে।

এই অবস্থায় সাধারণ মানুষ বিদ্যুৎ বিভাগকে দায়ী করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয়দের মতে, সীমান্তবর্তী এসব অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে হলে ভোল্টেজ স্থিতিশীল রাখা, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধি এবং পৃথক গ্রিড লাইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা অতিব জরুরি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা

সম্পাদকীয়

সম্পাদক ও প্রকাশক