মোঃ এরশাদ : আজ ৩০শে মে, শুক্রবার স্বাধীনতার ঘোষক,বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী । ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে দেশি-বিদেশি চক্রান্তে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য তাকে হত্যা করে।
স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা।
ক্ষমতায় থাকাকালীন জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়।
প্রতি বছর দিনটি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী হিসেবে পালন করে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠন।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া খালকাটা কর্মসূচি, সবুজ বিপ্লব, শিল্প উন্নয়ন এবং যুগোপযোগী ও আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা রাখেন। নারী সমাজের উন্নয়ন ও শিশুদের বিকাশে তার আগ্রহ জাতিকে নতুন দিকনির্দেশনা দেয়।
তার সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেম ছিল অতুলনীয়।
দেশকে যখন তিনি সামনের দিকে নিয়ে চলতে শুরু করেন সেই সময়ে তার বিরুদ্ধে শুরু হয় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র। ১৯৮১ সালের ২৯ মে তিনি এক সরকারি সফরে চট্টগ্রামে যান। ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে গভীর রাতে একদল সেনাসদস্য তাকে হত্যা করে। বিপথগামী সেনাসদস্যরা তার লাশ চট্টগ্রামের রাউজানের গভীর জঙ্গলে কবর দেয়। তিন দিন পর ওই লাশ উদ্ধার করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়, লাখ লাখ শোকার্ত মানুষ শেরেবাংলা নগরে তার জানাজায় শরিক হন। পরে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে তাকে সমাহিত করা হয়।
শহীদ প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যু বার্ষিকীতে তার সম্পর্কে জানতে চাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলকর্মী রুপক আহমেদ বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। আজকের এইদিনে আমরা তার আদর্শকে ধারণ করে সামনের দিনগুলোতে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় সংকল্প নিচ্ছি এবং তাকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
ছাত্রদলকর্মী দিপু বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নেতৃত্ব,ব্যক্তিত্ব এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় শুধু দলের জন্য নয় বরং দেশের হয়ে উঠেছিলেন এক অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। আজকের এই দিনে আমরা তাঁর জীবনের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নেই, এবং তাঁর আদর্শকে বুকে ধারণ করে সামনে এগিয়ে যাওয়া দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি এবং তার রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।