মো আব্দুল শহীদ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল হকের বিধবা স্ত্রী নুরজাহান বেগমের বসতঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গ্রামের মানুষের উদ্যোগে আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় হাসান মার্কেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৬ নভেম্বর রাত অনুমান ৭টায় বসতবাড়ির জায়গা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে নুরজাহান বেগম (৫৫) মঞ্জু মিয়া (৬০) নুর হোসেন (১৫)কে বেদড়ক মারধর করে রক্তাক্ত ও জখমপ্রাপ্ত করেছে। পরে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় রাত ১১ টায় বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুপাটের ঘটনা ঘটায় পাশের ঘরের বাসিন্দা মৃত আবু মিয়ার ছেলে মেহের আলী, তাহের আলী, মেহের আলীর ছেলে শাহানুর মিয়া, আলীনুর,খুশনুর মিয়া গংরা।
মারামারির ঘটনায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বিধবা নুরজাহান বেগম,মঞ্জু মিয়া,নুর হোসেন গুরুতর আহত হন। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
বক্তারা আরও বলেন, ১৬ নভেম্বর রাত ১১টায় নুরজাহান বেগমের বসতঘরে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনা করে মেহের আলী গংরা। এই ঘটনায় বসতঘরে থাকা ধানের বস্তা, চাউল, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, ১টি ফ্যান, ২টি কাঠের পালং, ৪টি চেয়ার, ১টি টেবিল, ১টি মিছরিব, ১ কেবিনেট সহ আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। একই সাথে টিনশেট ঘরের চারপাশের ভেড়া, রুমের ভেতরে পার্টিশন ভাংচুর, বিদ্যুৎ মিটার ভাংচুর করে পালিয়ে যায় মেহের আলী গংরা।
মানববন্ধন চলাকালে নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা এবং গ্রামবাসীরা এই সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য মো. আক্তার হোসেন, স্থানীয় ব্যবসায়ি মনোয়ার হোসেন, পঞ্চায়েত সভাপতি নবাব মিয়া, সমাজসেবক আবু জাহের, তহুর মিয়া, মিস্টার আলী, হেলাল মিয়া, মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, হাজী আব্দুস ছালাম, তৈয়ব আলী, আব্দুল জলিল, মউদর আলী, আলকাছ মিয়া, সাজিদ মিয়া, আব্দুল হাই, আবুল কাসেম প্রমূখ।
এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ফারুক মিয়া, দৌলত মিয়া, সেরণ মিয়া, ইকবাল মিয়া, ইজ্জত আলী, মরম আলী, মামুন মিয়া, ছাদেক মিয়া, জালাল মিয়া, আকরাম মিয়া।
নির্যাতিত আহত নুরজাহান বেগম বলেন, হামলার ঘটনায় আমার বসতঘর ভেঙ্গে ফেলেছে। এতে প্রায় দুই লক্ষাদিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখন রাত্রিযাপনের জায়গা নেই। ঘরের আসবাবপত্র সব লুট করে নিয়ে গেছে মেহের আলী গংরা। পানি খাওয়ার মত একটি গ্লাসও রেখে যায়নি তারা। আমি ন্যায় বিচার পেতে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
অভিযুক্ত ব্যক্তি মেহের আলীর মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি। তাই বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো নাজমুল হক বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply