মো আব্দুল শহীদ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : মধ্যরাতে শহীদ মিনারে নাশকতার প্রস্তুতির সময় সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ৪ নেতাকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন তাহিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশ্রাফুজ্জামান ইমন। সে উপজেলার ভাটি তাহিরপুর গ্রামের বদিউজ্জামানের পুত্র ও আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলামের ভাগ্না। অন্যনারা হলেন একই উপজেলার গোবিন্দশ্রী গ্রামের মঞ্জুর আখঞ্জির ছেলে ইশতিয়াক আখঞ্জি রাহী, ঠাকুর হাটি গ্রামের শামসুল হকের ছেলে মুরাদ মিয়া, ভাটিতাহিরপুর গ্রামের লকুজ মিয়ার ছেলে মাকসুদ মিয়া। এরা ৩ জনই উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে তারা নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন ছাত্রলীগের ব্যনার নিয়ে তার ভাগ্না ইমনসহ ৭/৮ জন ছাত্রলীগ নেতা তাহিরপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় স্মৃতি সৌদে ফুল দিয়েছে। সেখান থেকে আসার পথে রাত ২টার দিকে পুলিশ তাদেরকে আটক করে।
তবে তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিনুর তালুকদার দাবী করেন ঠাকুরহাটি গ্রামের নারায়ণের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ছাত্রলীগ নেতা মুরাদকে আটক করা হয়।
এদিকে ৪ ছাত্রলীগ নেতাকে আটকের কিছু সময় পুর্বে সুনামগঞ্জ ১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, মধ্যনগর) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এম পি রঞ্জিত সরকার তার ফেইসবুক পোস্টে “বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে তাহিরপুর উপজেলা ছাত্র লীগের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন” লিখে ব্যানার সহ কিছু ছবি পোস্ট করেন। যদিও সুনামগঞ্জের কোথাও আওয়ামী লীগ ও এর অংগ সংঠনকে কোন কর্মসুচী পালন করতে দেখা যায় নি। এঘটনার সাথে এম পি রঞ্জিত সরকারের ইন্দন রয়েছে বলে আশংকা করছেন অনেকেই।
তাহিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশ্রাফুজ্জামান ইমনের বিরুদ্ধে ৪ আগষ্ট ছাত্র জনতার উপর হামলার মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply