২৭শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| ১১ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৬ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি| রাত ৪:৪৮| বর্ষাকাল|
শিরোনাম:
মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে শতভাগ জিপিএ-৫ অর্জন টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী তানিশা পেলেন জিপিএ ৫ ছাতকে এসএসসিতে পাশের হার ৬৭.৮০ শতাংশ,জিপিএ-৫ এর শীর্ষে ছাতক সরকারি বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় দিরাইয়ে পুকুরে ভাসতে থাকা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার রেজাউল ও রুবেল গং মিলে জোরপূর্বক দীর্ঘদিন ধরে আমার ভিটা দখলের পায়তারা করছে : শিক্ষক কুমিল্লায় যাত্রা শুরু করলো ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৬৩ দশমিক ৬০, কমেছে পাশের হার ও জিপিএ ৫ কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বৃহস্পতিবার পরীক্ষা স্থগিত দখলদারদের উচ্ছেদের নোটিশ দেয়ায় ভূমি কর্মকর্তাসহ তিনজনের উপর হামলা ত্রিপুরায় ভারী বর্ষণে গোমতী নদীর পানি বাড়ছে, তীরবর্তী মানুষের মাঝে আতঙ্ক

সরকারের পতনের সুযোগে অবৈধ পদায়ন,বদলী ও রুম দখল

Reporter Name
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, আগস্ট ২৬, ২০২৪,
  • 302 বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি : সরকারের পতনের কেসিসিতে পদায়ন, বদলী ও রুম দখলের নানা ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসক নিয়োগের আগেই নিয়ম না মেনে বদলী ও পদায়ন করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। প্রতিটি ক্ষেত্রে অর্থ লেনদেনের অভিযাগ উঠেছে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সানজিদা বেগমের বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের বঞ্চিত কর্মকর্তারা উপেক্ষিত হয়েছেন।

জানা গেছে, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরদিন ৬ আগস্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তা, চীফ অ্যাসেসর, লাইসেন্স অফিসার, সিনিয়র লাইসেন্স অফিসার, সুপারিনটেন্ডেট, এস্টেট অফিসারসহ একাধিক পদে পদায়ন করা হয়। এসব পদে পদায়নের জন্য মেয়রের সম্মতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু মেয়র ওই সময় কার্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। সানজিদা বেগম নথি অনুমোদন না নিয়েই অর্থের বিনিময়ে চিঠি দিয়ে বদলি আদেশ করেছেন। এ ছাড়া নতুন কর্মকর্তারা একটির পরিবর্তে ২/৩টি রুম দখল করে নিয়েছেন।

সূত্রটি জানায়, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সানজিদা বেগম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল ইমামের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে কেসিসিতে দাপিয়ে বেড়ান। সরকার পতনের পর তার চরিত্রও পাল্টে গেছে। এখন তিনি আন্দোলনরত ছাত্রদের বোন পরিচয় দিচ্ছেন। তবে প্রতিবেদককে এ কর্মকর্তা এ অভিযোগ ভিক্তিহিন বলে জানিয়েছেন।

এদিকে মেয়র না থাকায় কেসিসির তেল চুরির হিড়িক পড়েছিলো। সূত্র জানায়, বর্জ্য পরিবহনের জন্য নগরীতে প্রতিদিন কেসিসির ৬৭টি ট্রাক চলাচল করে। পাশাপাশি ৭টি কনটেইনারবাহী গাড়ির সঙ্গে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পে-লোডার এবং ২০টি দাপ্তরিক কাজে ব্যবহৃত গাড়ির জন্য প্রতিদিন জ্বালানি তেলের প্রয়োজন।

সব মিলিয়ে প্রতিদিন কেসিসির নিজস্ব গাড়িতে ৩০০ লিটারের বেশি জ্বালানি তেল লাগে। এই ট্রাকের ইস্যু স্লিপ দিয়ে তেল না নিয়ে নগদ টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও মশক নিধনের ২ নম্বর ক্রয়েরও অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে সানজিদা বেগম বলেন, আপনার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সব অভিযোগ মিথ্যা। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমি সিটি কর্পোরেশনের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রাখিনা শুধুমাত্র মূখপাত্রের ভূমিকা পালন করি।

মেয়র তৈয়্যাবুর রহমান বা বর্তমান ছাত্র আন্দোলনে যারা রয়েছে , তারা কেউ আমার কোন আত্মীয় নয়।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, আমরা-ই তো তেল চুরি ধরলাম, সেখানে আমার নাম আসে কিভাবে। আমরা তেল চুরি চক্র ধরে বেড়াই, উল্টো আমাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ। আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগই মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক।

কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম বলেন, সিটি কর্পোরেশনে অবৈধভাবে কিছুই হয়নি।, যা কিছু হয়েছে সবকিছুই নিয়ম মেনে হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ