আজ ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সুনামগঞ্জে মা ছেলে খুন খালাতো দুই ভাই পলাতক

মো আব্দুল শহীদ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ পৌর শহরের এসপির বাংলা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে মা ও ছেলের ক্ষত বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ।

ধারণা করা হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ভোরে লন্ডন প্রভাসী আলকাছ মিয়ার বাসায় মা ও ছেলে খুনের ঘটনাটি ঘটেছে।

এদিকে নিহতের খালাতো বোন নার্গিস আক্তার নিহতের ক্ষত বিক্ষত মরদেহ দেখে অজ্ঞান হওয়ায় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নিহতরা হলেন, মৃত জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪৫) ছেলে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মিনহাজ (১৯)।

নিহতের জালের ছেলে সজিব আহমদ জানান, আমার চাচা মৃত্যুবরণ করার পর চাচি ছোট ভাইকে নিয়ে মেয়ের জামাইয়ের বাসায় বসবাস করতেন। বাসায় দুটি ইউনিট ছিল। একটি ইউনিটে চাচি ও ছোট ভাই থাকতেন। অন্য ইউনিটে চাচির খালাতো বোন নার্গিস আক্তার দুই ছেলে ফয়সাল আহমদ (৩৫) ও ফাহমিদ আহমদ (১৮)কে নিয়ে বসবাস করতেন। ঘটনার পর থেকেই তাদের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।

এ ঘটনায় সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার আ.ফ.ম আনোয়ার হোসেন খান পিপিএম,৬১ ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট অধিনায়ক মেজর মহিউদ্দিন,সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো নাজমুল হক সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

নিহতের স্বজনরা জানান, দীর্ঘ প্রায় ৭/৮ বছর আগে নিহতের স্বামী জাহিদুল ইসলাম মারা যাওয়ার পর ময়নার পয়েন্টের বাসা বিক্রি করে লন্ডন প্রবাসী বিয়াই আলকাছ মিয়ার বাসায় মা ও ছেলে বসবাস করেছেন।

নিহতের কাজের বোয়া একই এলাকার সুন্দর আলীর স্ত্রী নুর জাহান বেগম জানান, আমি প্রায় ৪/৫ বছর যাবৎ তাদের বাসায় জিয়ের কাজ করছি। প্রতিদিন সকাল ৮ টায় নিহত ফরিদা বেগম মূল গেইটের তালা খোলে দিলে আমি বাসায় ডুকে কাজ করতাম এবং কাজ শেষে বাহির হওয়ার পর আবার গেইট লক করতেন। কিন্তু আজ সকাল ৮ টায় আমি গেইটে শব্দ করে ডাকতে ডাকতে ক্লান্ত হয়ে বাসার পিছনে গিয়ে জানালা খোলে দেখি রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মরদেহ প্লোরে পড়ে আছে। এই অবস্থা দেখে আমি দৌড়ে গিয়ে তাদের আত্নীয় স্বজনকে জানাই।

পুলিশ সুপার আ.ফ.ম. আনোয়ার হোসেন খান পিপিএম বলেন, মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ চলছে। খুনিদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো নাজমুল হক বলেন, আমরা সকাল ৯টায় খুনের ঘটনার খবর পেয়েছি। পুলিশ সুপার স্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আমি ঘটনাস্থলেই আছি। আমার ধারণা বটি দা দিয়ে কুপিয়ে মা ছেলেকে খুন করা হয়েছে। এসপি স্যারের নির্দেশে আমাদের গ্রেফতারি অভিযান অব্যহত আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ