মোঃ ইমরান হোসেন : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেন, শিক্ষার্থীদের মাত্র এক মাসের আন্দোলনে দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। এ আন্দোলনে এক হাজারের বেশি শহীদ হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শহীদ পরিবারের পাশে রয়েছে। সারাজীবন তাদের পাশে থাকবে। তিনি বলেন, জামায়াত মানবতার কল্যাণ সাধন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে চায়। তাই ইসলাম বিদ্বেষী শক্তি আমাদের উপর নির্যাতনের স্টীম রোলার চালিয়েছে। আমাদেরকে ধ্বংস করতে গিয়ে তারা নিজেরাই ধ্বংস হয়ে গেছে। ছাত্রজনতার বিজয়ের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ইনসাফভিত্তিক বৈষম্যহীন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সাবেক ছাত্রনেতৃবৃন্দকে অগ্রণী ভুমিকা পালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের কোন অবসর নেই, ক্ষেত্র বদল হয় মাত্র। তাই দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সাবেক ছাত্র দায়িত্বশীল ভাইদের আরো বেশী সক্রিয় ভুমিকা পালন করতে হবে। এতে ইহকালীন সাফল্য ও পরকালিন মুক্তির পথ প্রশস্ত হবে। আজ শনিবার (৩১ আগস্ট) খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে নগরীর আল ফারুক সোসাইটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাবেক ছাত্র দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, সহকারী সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম, মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আরাফাত হোসেন মিলন প্রমুখ।
মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক আরও বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতার সুবাতাস অনুভব করছি। দেশের মানুষ স্বস্তি ফিরে পেয়েছে। তবে বিজয়ের পরে দেশের ভিন্ন ধর্মাবলম্বিদের বাড়িঘর, উপাসনালয়ে হামলার নাটক সৃষ্টি করে প্রতি বিপ্লব ঘটানোর পাঁয়তারা করেছিল পরাজিত শক্তি। জামায়াত দেশের ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে সেই ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা রাত জেগে মন্দির পাহারা দিয়েছে। বিষয়টি বিশ^ মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী সাধারণ মানুষের ভোটাধিকারে বিশ্বাস করে। সকলের অংশ গ্রহণে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যে নির্বাচনে কেউ বলবে না, যে আপনাদের ভোট হয়ে গেছে। এ জন্য রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংস্কার করতে সময় লাগবে। সংস্কারের পরেই একটি সুষ্ঠ নির্বাচন দিতে হবে ইনশাআল্লাহ।
Leave a Reply