আজ ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বিএনপি’র মিছিলে আ.লীগ কর্মী বাঁধা,আহত যুবদল নেতা

আমতলী ( বরগুনা) সংবাদদাতা : আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়ন থেকে বিএনপির মিছিলে আসা আওয়ামিলীগ নেতা কর্মী দেখতে পেয়ে বাঁধা দেয় যুবদল নেতা। এ সময় বাঁধা দিতে গিয়ে হামলার শিকার হন যুবদল নেতা।

আজ সোমবার সকাল সারে ১০টার দিকে মিছিলটি গুলিশাখালী বাজারে এবং পরে খেকুয়ানি বাজারে আসার সময় এঘটনা ঘটে।

বিএনপির দলীয় সূএে জানা যায়,গত ৭ই নভেম্বর আমতলী উপজেলা বিএনপির আয়োজনে বিপ্লব ও সংহতি দিবসে তৃনমুল বিএনপির নেতাকর্মীর সকলের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ১৫ হাজারের অধিক জনসমাবেশে একটি ঐতিহাসিক সভা জনসমুদ্রে পরিনত হয়। তাই দেখে বিএনপির একটি ঈর্ষানিত মহল আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি, বিভিন্ন দল থেকে আসা বিএনপির হাইব্রিড নেতা আজ আলাদা কর্মসূচি পালন করে।

 

গুলিশাখালী বাজার হতে আমতলী আসার সময় মিছিলে আওয়ামিলীগ নেতা কর্মী দেখতে পেয়ে গুলিশাখালী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক রফিক বিশ্বাস বাধা দেয়।

এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে যুবদল নেতা-কর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা করেন বলে অভিযোগ করা হয়। এতে হামলায় দলটির যুবদল নেতা আহত হয়েছেন।

আহত যুবদল নেতা হলেন উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ মনির ঘরামী।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোঃ তানভীর শাহরিয়ার বলেন,আহতের কপালে, গালে, কাঁধের ডানপাশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছেএবং হাসপাতালে চিকিৎসাধী রয়েছে।

যুবদল নেতা মোঃ মনির ঘরামী বলেন, গুলিশাখালী বাজারে দুটি অটোতে কতিপয় আওয়ামিলীগের চিহ্নিত কর্মী বিএনপির মিছিলে যাওয়ার জন্য রওনা হলে আমি বাঁধা দেই। খবর পেয়ে কবির পঞ্চায়েত, শাহাবুব, আমিনুল, জুয়েলসহ দের থেকে দুইশত লোক আমার ওপর হামলা করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আমি এদের বিচার চাই।

এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ কবির ফকির ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকার পতনের পর তার দোষররা এখনও বিএনপির মধ্যে অনুপ্রবেশ করে দলের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মনির ঘরামীর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং হামলার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাই।

উপজেলা বিএনপির সিনিয়র আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম ভিপি মামুন বলেন, সত্যি এটা দুঃখজনক। যুবনেতা মনির ঘরামী যুবদলের একজন সক্রিয় নেতা। তার ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আরিফুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ থানায় কেউ করেনি।’ অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ