শিরোনাম :
শাবরুল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠি বগুড়ায় সুজনের ২৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত পঞ্চগড়ের বোদায় তিন শতাধিক মা’দের নিয়ে মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত লাকসাম-মনোহরগঞ্জে চাঁদাবাজদের ঠাঁই হবে না : আবুল কালাম  রূপসায় ৭২ ঘন্টা পর ট্রলার দূর্ঘটনায় নিহত মিঠুর মরদেহ উদ্ধার  মাদারগঞ্জে সমবায় সমিতির প্রতারণায় ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের অবস্থান, উপজেলা পরিষদে অফিস বন্ধ বোদায় জমি সহ বাড়ি পেলেন জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের গোল মেশিন খ্যাত তৃষ্ণা  সুলতানপুর-৬০ বিজিবি ৪ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য আটক করে কুমিল্লা–৬ এ টানা কর্মসূচির দশম দিনে হাজী ইয়াছিনের পক্ষে গণস্বাক্ষর অভিযান ভূজপুরে রাজনৈতিক মামলায় নিরীহ মানুষ গ্রেপ্তার : এসআই খালেদের অপসারণ দাবিতে থানা ঘেরাও ঘোষণা
বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৫২ পূর্বাহ্ন

টাকা ছাড়া নড়ে না ফাইল, দালাল চক্রে দিশেহারা মানুষ

Reporter Name / ২৩ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৫

রোমান আহমেদ, জামালপুর : জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সেবা প্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। তিনি অফিসে বসে দরকষাকষি চালান কর্মচারীর মাধ্যমে। তার মাধ্যমেই নির্ধারণ করেন ঘুষের পরিমাণ।

এমনকি অফিসের ভেতরে প্রকাশ্যে ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নামজারি, ভূমিকরসহ ভূমি-সংক্রান্ত যেকোনো কাজের জন্য সেবা প্রার্থীদের কাছ থেকে নিয়মিত টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ঘুষ বাণিজ্যের মূল হোতা হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মচারি মজনু মিয়াকে। অভিযোগ অনুযায়ী তিনি প্রায় সব কাজেই ঘুষ নেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ,’উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর নাম ভাঙিয়ে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও কর্মচারী মজনু মিয়া নিয়মিত সেবা প্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। টাকা না দিলে মাসের পর মাস ফাইল আটকে রাখা হয়।’

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কোনো জমির নামজারি করতে হলে প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হয়। এরপরই শুরু হয় ঘুষ-বাণিজ্য। ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে প্রত্যয়ন নিতে গেলেই দিতে হয় ঘুষ। গ্রামের সহজ-সরল মানুষ ভূমি অফিসে ভুমিকর দিতে এলে নানা কৌশলে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অফিসের ভেতরে সেবাপ্রার্থীরা অপেক্ষা করছেন। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কাগজে ত্রুটি দেখিয়ে কর্মচারী মজনু মিয়ার সঙ্গে অর্থ লেনদেনের পর ভূমিসেবা প্রদান করছেন।

একাধিক সেবা প্রার্থী জানান,’এই অফিসে সেবা নিতে এলেই দিতে হয় ঘুষ। নামজারির জন্য গেলে মজনু মিয়া পাঠিয়ে দেন অনলাইনের আবেদনের জন্য সাগরের কম্পিউটারের দোকানে। সেখানে আবেদন করতে লাগে ৫০০ টাকা এর একটি অংশ কমিশন হিসেবে পান মজনু। অনলাইনে আবেদন করার পরও ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না। ২০০ টাকার ভূমিকর দিতে হয় ৩ হাজার টাকা। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কিছু দালালও রেখেছেন, তাঁদের মাধ্যমেই টাকা নেয়া হয়।’

ইউনিয়নের বাগবাড়ি এলাকার শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘দালাল ছাড়া এখানে কোনো কাজ হয় না। অনেক ঘোরাঘুরির পর রবিউল নামে এক দালাল আমার ৬০ শতাংশ জমির খারিজের জন্য ৬ হাজার টাকা নিয়েছে। পরে আরও ১৫ শ টাকা দাবি করেছে। না দেয়ায় তিন মাস ধরে ঘুরাচ্ছে।’

ভুক্তভোগী জিয়াউল ইসলাম বলেন, ‘টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। আমি একটা খারিজ দিয়েছি। অনেক দিন যাবত ঘুরতাছি কাজ হচ্ছে না। অতিরিক্ত টাকা দাবি করছে তারা।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এসব বিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কিছু বলবো না।

এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা আক্তার জ্যোতি বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

জামালপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুমী আক্তার বলেন, “বিষয়টি আপনার মাধ্যমেই জানলাম। সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে গ্রহীতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

ফেসবুকে আমরা

সম্পাদকীয়

সম্পাদক ও প্রকাশক