মো আব্দুল শহীদ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের পূর্ব ডলুরা গ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে এক নিরিহ পরিবারকে বেদড়ক মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনায় ৩ জন আহত হয়েছেন। আহতরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহতরা হলেন, হনুফা বেগম (৪০) স্বামী মৃত মন্তাজ আলী, সাবিনা বেগম (২২) ও নাঈম মিয়া (৯) পিতা মৃত মন্তাজ আলী।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আহত হনুফা বেগম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন।
জানা যায়, পূর্ব ডলুরা গ্রামের মস্তু মিয়ার ছেলে পাথর শ্রমিক জাহাঙ্গীর মিয়া (৩৫) একই গ্রামের মৃত মন্তাজ আলীর স্ত্রী পাথর শ্রমিক হনুফা বেগম (৪০) এর সাথে ধোপাজান চলতি নদীতে পাথর উত্তোলনকে কেন্দ্র করে হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টি করে আসছে। ইতোমধ্যে দু’একবার ঝগড়ার ঘটনা ঘটিয়েছে জাহাঙ্গীর।
বৃহস্পতিবার রাতে পাথর শ্রমিক হনুফা বেগমের ছোট ছেলে নাঈম মিয়া (৯) কে পাথর উত্তোলনের চালুন চুরি করে আনার অপবাদ দিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি করে পরে মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনা করে জাহাঙ্গীর মিয়া।
পাথর শ্রমিক হনুফা বেগম বলেন, আমি গরীব মানুষ দিনমজুরী করে পরিবার চালাই। ঘরে আমার বিবাহ যোগ্য একটি মেয়ে আছে। আমাকে ও আমার মেয়েকও বেদড়ক মারপিট করে। একই সাথে আমার ছোট সন্তানকেও মারধর করে। এই মাধর করে আমার টিনের ঘর ভেঙে ফেলে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযুক্ত ব্যক্তি পাথর শ্রমিক জাহাঙ্গীর মিয়ার বাড়িতে গেলে তার মা আমেনা বেগম (৭০) জানান, আমার ছেলের সাথে হনুফা বেগম ঝগড়া করে। যে ঘটনা হয়েছে তা মিমাংসা করার জন্য চেষ্টা করছি।
ইউপি চেয়ারম্যান রসিদ আহমেদ জানান, পূর্ব ডলুরা গ্রামে মারামারির ঘটনা শুনেছি। কেউ অভিযোগ নিয়ে আসলে সালিশ করে মিমাংসা করার চেষ্টা করবো।
সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি,তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Leave a Reply