আজ ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Oplus_0

দ্বিতীয় বিবাহে সম্মতি না দেয়ায় গৃহবধূকে হত্যা চেষ্টা

মো আব্দুল শহীদ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে দ্বিতীয় বিবাহে সম্মতি না দেয়ায় স্বামী কতৃক সহধর্মিণী জিসকা ফার্মাসিটিক্যালস এর রিপ্রেজেনটেটিভ মাছুমা আক্তার (৩১)কে ফিল্মি স্টাইলে মুখে কাপড় বেধে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাত ২ টায় উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রাজাই গ্রাম সীমান্তে মাছুমা আক্তারের বাবার বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে।

আহতরা হলেন, মাছুমা বেগম (৩১) তার পিতা মাইজ উদ্দিন (৭০)। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন। গুরুত্বর আহত মাছুমা বেগমের পিতা মাইজ উদ্দিনকে ছুরিকাঘাত করায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

নির্যাতিত গৃহবধূ মাছুমা আক্তার জানান, বড়দল বাগবাড়ি প্রামের মরহুম মকরম আলীর ছেলে জিয়াউর রহমানের সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর আমার স্বামী জিয়াউর রহমান সুকৌশলে আমাকে মেডিসিন খাইয়ে দুই মাসের গর্ভপাত করেছে। দ্বিতীয় বিয়ে আমি সম্মতি না দেয়ায় দিনের পর দিন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। আমার স্বামী অনেক বার আমাকে মারধর করে বাবার বাড়ি পাঠিয়েছে যৌতুকের জন্য। স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পারিবারিক আদালতে মামলা করেছি। মামলার পর আমার স্বামী আমার অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। তারপর আমি বাবার বাড়িতে চলে আসি। মামলা তুলে নেয়ার জন্য স্বামী আমাকে চাপসৃষ্টি করে। মামলা না তুলায় গত ৮ নভেম্বর শুক্রবার রাত ২ টায় আমার স্বামী মুখে কালো মুখোশ পরে কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে দরজার ফাক দিয়ে অস্ত্র দ্বারা সীটকারী খুলে বসতঘরে ডুকার সময় আমি টের পেয়ে চোর চোর করে চিৎকার করলে পালিয়ে যায়। গত ১০ নভেম্বর রবিবার রাত আড়াই টায় অস্ত্র দিয়ে দরজার ফাক দিয়ে সীটকারী খোলার সময় আমি টের পেয়ে চিৎকার করলে আবারও পালিয়ে যায়। পরে ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার রাত ২ টায় আমার বাবা দরজা খুলে বাহির হয়ে প্রস্রাব করতে গেলে বাহিরের লাইট বন্ধ করে ঘরের ভেতরে ঢুকে কাঠের নিচে বসে থাকে। বাবা ঘুমানোর পর ঘরের দরজা খুলে দেয় আমার স্বামী। তারপর সবাই ঘরে ডুকে আমাকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করলে আমি দস্তাদস্থি করি। এক পর্যায়ে বাবা ঠের পেয়ে হাতে লাঠি নিয়ে এগিয়ে এলে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এদিকে আমার স্বামী ধারালো ছুরি দিয়ে আমার গলায় ফোচ দিলে নাকে এবং হাতে রক্তাক্ত ও জখম প্রাপ্ত হয়। বর্তমানে আমি জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, ঘটনার পর পরেই মেয়েটি থানায় এসেছিল। অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ