আজ ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রাজগোবিন্দ সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে জলবদ্ধতা, সীমানা প্রাচীর না থাকায় চুরির ঘটনা ঘটছে

মো আব্দুল শহীদ সুনামগঞ্জ, প্রতিনিধ : সুনামগঞ্জ শহরের ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাজগোবিন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের মাঠ থাকা সত্ত্বেও বর্ষার বা বৃষ্টির দিনে পানি জমে কাদার সৃষ্টি হয়ে থাকে। ফলে শিক্ষার্থীদের খেলাধূলা বা অন্য কোনো কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া বিদ্যালয়ের পশ্চিম দিকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ না হওয়ায় অনিরাপত্তায় চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে। তাই মাঠে মাটি ভরাট ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের দাবি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। জানা যায়, ২০১৫ সালে সুনামগঞ্জের তৎকালীন জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলামের প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত বেশ উন্নয়ন হয়। ওই সময় অত্যন্ত নিচু থাকা এই মাঠে মাটি ভরাট করে বেশ উঁচু করা হয়। কিন্তু মাঠের কোণে একটি মেইল ওয়াস ব্লক নির্মাণ করা হয়, বাউন্ডারি দেয়াল উঁচুকরণ হয়। বিদ্যালয় মেরামতসহ রং করা হয়। শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পানি সংকট মেটাতে সাবমার্সিবল নলকূপ স্থাপন করে দেয়া হয়। ওই সময় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন বিদ্যালয়ের সামনের দিকে একটি দৃষ্টিনন্দন গেইট নির্মাণের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের পশ্চিম দিকের বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণের সিদ্ধান্ত হলেও অদ্যাবধি দেয়াল নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সীমানা প্রাচীর নির্মাণ না হওয়ায় এবং দেয়াল উঁচুকরণ না হওয়ায় গাছ-পালা গরু-ছাগলে খেয়ে নষ্ট করছে এবং বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা না থাকায় চুরির ঘটনাও ঘটে চলেছে। শিক্ষার্থী অভিভাবক সালেহা বেগম বলেন, আমরা ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে বিদ্যালয়ে আসি। তাদের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এই জন্য আমরা ৩০-৪০ জন অভিভাবক মাঠে বসে অপেক্ষা করি। মাঠ নিচু। তাই বৃষ্টি হলে পানি জমে পুকুরের মতো হয়ে যায়। পরে কাদার সৃষ্টি হয়। এই সমস্যা নিরসনে মাঠে মাটি ভরাট জরুরি দরকার। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও সাংবাদিক আকরাম উদ্দিন জানান, সুনামগঞ্জের তৎকালীন জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম মহোদয়ের সময়ে বিদ্যালয়ের মাটি ভরাটসহ অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এরপর আর কোনো উন্নয়ন হয়নি। এবার শিক্ষার্থী অভিভাবকদের ভোগান্তি কমিয়ে আনতে মাঠে মাটি ভরাট খুবই জরুরি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাছমিন বেগম চৌধুরী বলেন, বিদ্যালয়ের পশ্চিম দিকের বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসনে একাধিকবার আবেদন করেছি। কিছুই হয়নি। বৃষ্টির দিনে বিদ্যালয়ের মাঠে পানি জমে কাদার সৃষ্টি হয়। অভিভাবকেরা বসতে পারেন না, শিক্ষার্থীরা খেলাধূলা করতে পারে না। বাউন্ডারি নির্মাণ এবং মাঠে মাটি ভরাট জরুরি প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ